আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
‘স্বয়ংসম্পূর্ণ মাছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে সারাদেশে ১৮ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ। এ উপলক্ষে মৎস্য সপ্তাহের উদ্দেশ্য ও করণীয় নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বুধবার (১৮ জুলাই ২০১৮) সকালে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পরিচালক শঙ্কর রঞ্জন দাশ, সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল হক আকন্দ, খামার ব্যবস্থাপক মো. মোস্তফা রুহুল আমিন ও অফিস সহকারী আব্দুল ওয়াহাব বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মৎস্য সম্পদের জন্য কিশোরগঞ্জ একটি ঐহিত্যবাহী এবং উর্বর জেলা। এটি মৎস্য উদ্বৃত্ত একটি জেলা। গত বছর এ জেলায় মোট মৎস্য উৎপাদন হয়েছিল ৭৩ হাজার ৫শ’ মেট্রিন টন। এখানে মাছের মোট চাহিদা রয়েছে ৬৬ হাজার ৩২৮ মেট্রিক টন। অর্থাৎ উৎপাদিত মাছের মধ্যে মোট ৮ হাজার ১৬১ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত ছিল।
চাষ করা মাছের ফলন বেশি হলেও এখানে প্রাকৃতিক জলাশয়ে এখনো মোট উৎপাদন বেশি। এই মৎস্য সম্পদকে রক্ষার জন্য ৬০টি বিল নার্সারি তৈরি করা ছাড়াও ৩৫ লাখ টাকার পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রাকৃতিক জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রকৃত মৎসজীবীদের নানাভাবে সরকার সহায়তা দেয়ার জন্য আইডি কার্ড চালু করেছে। তবে এসব ক্ষেত্রে জনবলের ঘাটতি একটি বড় সমস্যা। মৎস্য সমৃদ্ধ জেলা হবার পরও কিশোরগঞ্জের একটি উপজেলা কেবলমাত্র একজন মৎস্য কর্মকর্তা ও একজন ফিল্ড এসিস্টেন্ট দিয়ে চলছে। এই দুজনের পক্ষে পুরো উপজেলা পরিদর্শন করা বা তদারকি করা সম্ভব নয়। এছাড়া জেলার হাওরাঞ্চল থেকে আহরিত মাছ সংরক্ষণের জন্য মৎস্য প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, বৃহস্পতিবার জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে সকালে শহরে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হবে। বিভিন্ন কর্মসূচি ছাড়াও আগামী ২৬-২৮শে জুলাই মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে তিন দিনের মৎস্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
সূত্র : কিশোরগঞ্জে বছরে ৮ হাজার মেট্রিক টন মাছ উদ্বৃত্ত [কিশোরগঞ্জ নিউজ, ১৮ জুলাই ২০১৮]