আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
সারাদেশে ঈদুল আযহায় এবার কুরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ১৬ লাখ। এরমধ্যে গরু-মহিষ ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭১ লাখ। গতবছর কুরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল এক কোটি চার লাখ ২২ সহস্রাধিক।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ (২২ জুলাই ২০১৮) একথা জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছর কুরবানিযোগ্য হৃষ্টপুষ্ট গরু-মহিষের সংখ্যা প্রায় ২৯ লাখ ২০ সহস্রাধিক এবং ভেড়া-ছাগল ১৮ লাখ ২৬ সহস্রাধিক। বাকিগুলো অনুৎপাদনশীল গরু-মহিষ ও ছাগল-ভেড়া।
এবছর কুরবানির হাটে পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রতিটি ছোট হাটে অন্তত ১টি, বড় হাটে ২টি করে এবং ঢাকার গাবতলী হাটে ৪টি মেডিক্যাল টিম থাকবে। রাজধানীর প্রতিটি টিমে ১ জন ভেটেরিনারি সার্জন, ১জন টেকনিক্যাল কর্মী (ভিএফএ/ইউএলএ) এবং ১জন করে শেরেবাংলানগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার্নি ভেটেরিনারি সার্জন থাকবেন। গতবছর সারাদেশের ২ হাজার ৩৬২টি পশুর হাটে মোট ১ হাজার ১৯৩টি মেডিক্যাল টিম দায়িত্ব পালন করে।
গত বছরের মতো এবছরও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর গবাদিপশুর খামারগুলোতে স্বাস্থ্যহানিকর রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ল্যাবরেটরি-পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে। এছাড়াও অধিদপ্তর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রাণি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোনজাতীয় ওষুধের বিক্রয় ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ, সীমান্তবর্তী এলাকায় এসব দ্রব্যের চোরাইপথে আসা বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে মনিটরিং এবং জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসন পল্লীচিকিৎসকগণ এসবের ব্যবহার রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এছাড়াও নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানিকরণসহ ময়লা-বর্জ্য যেখানে-সেখানে না ফেলা এবং কুরবানির আগে-পরে ঢাকা সিটির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনদু’টির সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টিতে সকল মিডিয়ায় প্রচারণা চালানো হবে।
সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিবের সভাপতিত্বে ‘ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুরবানির হাটে ভেটেরিনারি সেবাসংক্রান্ত’ এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব তথ্য দেয়া হয়েছে বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। বাসস