মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী প্রতিনিধি ।।
হাটহাজারীতে বিষপানে মমতাজ বেগম লিলিপী (৪৩) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চমেক হাসপাতালে তিনি মারা যান। লিলিপী পৌর এলাকার আদর্শগ্রামের দিনমজুর সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী। সপরিবারে আদর্শগ্রাম উত্তর পাহাড়ে কালা ফরিদের প্লটে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের সংসারে ২ পুত্রসন্তান রয়েছে।
সাহাবুদ্দিন ভোলা জেলার চরফ্যাশন এলাকার বাসিন্দা। জীবিকা নির্বাহের জন্য চট্টগ্রাম হাটহাজারীতে প্রায় দেড় যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় শামীমা বেগম নামের এক মহিলা লিলিপীর বোনের ছেলের জন্য একটি এনজিও থেকে ঋণ নেয়ার প্রস্তাব করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লিলিপী-শামীমা বেগমের মধ্যে মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে একে অপরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। নিহত লিলিপী রেগে বোনের ছেলের বাড়িতে নবনির্মিত ভেটেরনারি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বিকেলেই চলে যান।
সেখানে তার ভাগ্নে নাজিমের সাথে বিষয়টি নিয়ে ঝগড়াঝাটি হয়। সাথে নাজিরের স্ত্রীও তার সাথে কথা কাটাকাটিতে লেগে যান। এক পর্যায়ে সেখানে সবার অজান্তে বিষপান করেন লিলিপী। তার শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে ভাগ্নে নাজিমের স্ত্রী লিলিপীর বাড়িতে সিএনজিযোগে নিয়ে আসেন। পরিবারের সবাই তার বিষপানের বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নাজিমের বাড়িতে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তার স্ত্রী কুলসুমা বেগম জানান, আমার খালাশাশুড়ি লিলিপী বিকেলে আমার স্বামীর কাছে আসছিল ব্যাংক থেকে যেন শামীমার মাধ্যমে ঋণ না নেন তা জানাতে। তার সাথে কথা বলার মুহূর্তে আমার খালুশ্বশুর এসে লিলিপীকে মারধর করেন, পায়ের জুতা দিয়ে তার শরীরে আঘাত করেন। লিলিপী তার স্বামীকে বলেন, এভাবে না মেরে একেবারেই মেরে ফেল। স্বামী চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে আমি নিজেই খালাশাশুড়িকে বাড়িতে দিয়ে আসি। কিন্তু এলাকার পার্শ্ববর্তী একাধিক মহিলা বলেন, স্বামীর সাথে কোন ঝগড়া হয়নি।
এ ব্যাপারে থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরের কাছে মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো আমি খবর পাইনি কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।