বিশেষ প্রতিনিধি ।।
ড. প্রকৌশলী রাজীব সাহা। ১৯৮১ সালের মে মাসের প্রথম দিনে জন্ম। বাবা মুক্তিযোদ্ধা দেবদাস সাহা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী মহাব্যবস্থাপক, মা বেলা সাহা একজন গৃহিনী। শিক্ষা ও জীবনের প্রতিটি স্তরে মেধার স্বাক্ষর রাখা রাজীব সাহার বাড়ি ভাটিবাংলার প্রবেশদ্বার নিকলী উপজেলা সদরের বড়হাটিতে। তার একমাত্র ছোট বোন ডা. পাপড়ি সাহা সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাকরিরত।
শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকেই মেধার প্রতিফলন ঘটাতে থাকেন রাজীব সাহা। ১৯৯০ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে নিকলী উপজেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। এরপর বাবার চাকরি সূত্রে পাড়ি জমান নেত্রকোনায়। সেখানেও তিনি মেধার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ১৯৯৩ সালে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় টেলেন্টপুলে বৃত্তি পায়। সেবার নেত্রকোনা জেলায় প্রথম স্থান এবং ময়মনিসংহ অঞ্চলে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
১৯৯৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। প্রাপ্ত নম্বর ৯০০। ১৯৯৮ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় তিনি ৯১০ নম্বর পেয়ে ঢাকা বোর্ডে মেধা তালিকায় ২০তম স্থান অধিকার করেন। তার এই অর্জনে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কর্তৃক মেধা বৃত্তি হিসেবে স্বর্ণ পদক প্রদান করা হয়।
তিনি ২০০৫ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করায় তাকে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক, ড. আলী করিম স্বর্ণ পদক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ৬০৬৪ গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। তাছাড়াও তিনি ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে রিসার্চ স্কলার ছিলেন।
আমেরিকার পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির কস্টার্স মেরেনাস ল্যাব থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ কৃতিত্বের সাথে এমএস ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকার নেব্রাস্কা লিনকলন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন এবং ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের হিমাদ্রি পাকরাশি ল্যাবে পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ এসোসিয়েট হিসেবে কাজ করছেন। তার স্ত্রী ড. সুদীপ্ত সাহা নেব্রাস্কা লিনকলন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।