আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
দেশে ক্রমশ জনপ্রিয় হওয়া টার্কি (মুরগির মতো দেখতে এক ধরনের বিদেশি পাখি) পালনে এখন থেকে ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো। টার্কি খামারিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ও পল্লি ঋণের নতুন নীতিমালায় এই পাখি পালনে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জুলাই ২০১৮) বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিমালাটি প্রকাশ করেছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, একদিন বয়সের টার্কির বাচ্চা ক্রয় করে পালনের জন্য ব্যাংকগুলো এখন থেকে ঋণ দেবে। তবে টার্কি পালনের জন্য ঋণ নিতে হলে খামারির নিজস্ব জমি থাকতে হবে এবং সেখানে শেড নির্মাণ করতে হবে। এক হাজার টার্কি পালনে ব্যাংক সর্বোচ্চ ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে।
নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঋণ গ্রহীতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারী খামারিদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহীতা ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ড পাবেন। ঋণ গ্রহীতাকে ৩৬-৫৪ মাসের মধ্যে (গ্রেস পিরিয়ডসহ) ঋণ সমম্বয় করতে হবে। ব্যাংকের শাখাগুলো এই খাতে ঋণের তথ্য সংরক্ষণ করবে। প্রয়োজনবোধে বাংলাদেশ বা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী তা সরবরাহ করবে।
তবে এক হাজার টার্কির বাচ্চা পালনে অবকাঠামোগত ব্যয়ে নেওয়া এই ঋণ কৃষিঋণ হিসাবে বিবেচিত হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এই নীতিমালায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ অনুসারে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে হবে শস্য খাতে,ন্যূনতম ১০ শতাংশ মৎস্য খাতে এবং প্রাণিসম্পদ খাতে ১০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে। এছাড়াও কৃষি যন্ত্রপাতি, দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ বিতরণ করতে হবে।
আর ব্যাংকগুলোর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ৯৬১ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ করবে। উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক বিতরণ করবে ৬০০ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার ৫২ শতাংশ বিতরণ করবে বেসরকারি খাতের ব্যাংক। সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করবে ৩০ শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংক বিতরণ করবে ১৫ শতাংশ ও বিদেশি ব্যাংক বিতরণ করবে ৩ শতাংশ ঋণ।
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন, ২৫ জুলাই ২০১৮