মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১০নং উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের মাদারীপুল ব্যারিস্টার সানাউল্লাহ সড়কের বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চলাচলকারী স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ। এদিকে পৌর এলাকার মিরেরহাট সম্প্রতি ভারি বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে মন্দরী ছড়া ভেঙ্গে নজবআলী সড়কের কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে। এখনো পর্যন্ত সেটি মেরামত করা হয়নি।
জানা যায়, এ সড়কটি দিয়ে উপজেলার ফতেয়াবাদ, মদুনাঘাট, থেকে উত্তর ও দক্ষিণ মাদার্শা, গড়দুয়ারা, মেখল প্রভৃতি ইউনিয়নে যোগাযোগের বিকল্প মাধ্যম এবং জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে পরিণত হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ বিভিন্ন হাট-বাজার, নগরী ও নিত্যপ্রয়োজনে গন্তব্যে যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়াও অসংখ্য শিক্ষার্থী এ সড়ক দিয়ে নগরীর কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সড়কের নিম্ন অঞ্চলের এলাকা পানির নিচে তলিয়ে সড়কটির কয়েক স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট পুকুরের মতো গর্ত সৃষ্টি হওয়ার কারণে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে করে রোগী পরিবহন করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এমনকি সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় সময় দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
সম্প্রতি প্রবল বন্যার পর থেকে এই সড়কগুলো মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। এরপরও স্থানীয় চেয়ারম্যান প্রায় সময় এ সড়ক দিয়ে চলাচল করলেও সড়কের এমন বেহালদশা তিনি দেখেও না দেখার ভান করে আছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন ক্ষোভের সাথে জানান, সড়কে সৃষ্ট প্রায় পুকুরের মতো গর্তগুলো ভরাট করে অন্তত যানবাহন ও জনচলাচলের কিছুটা উপযোগী করার জন্য বার বার বলা হলেও অজ্ঞাত কারণে তা করা হচ্ছে না এবং জনপ্রতিনিধিরা বার বারই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সাধারণ মানুষকে টেন্ডার হয়েছে কাজ শুরু হবে এসব বলে আসছেন। তাদের প্রশ্ন, যতদিন কাজ শুরু হবে না ততদিন এ এলাকা সহ উক্ত সড়ক দিয়ে চলাচল করা মানুষ কি এভাবে দুর্ভোগে কাটাবেন?
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই জানান, মাদার্শা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়সহ আশপাশের স্কুল-মাদরাসার ছাত্রছাত্রীরা হাঁটু সমান পানি পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সড়কের মাঝখানে সৃষ্ট গর্তে পড়ে প্রায় সময় কেউ না কেউ আহত হন। এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে সড়কটি উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামারুজ্জামান জানান, অল্প ক’দিনের মধ্যেই এ রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মনজুর আলম মাসুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ইতিমধ্যে কাজের টেন্ডার হয়েছে। শীঘ্রই রাস্তার কাজ শুরু হবে।