আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী মডেল থানার ব্যবসায়ী মো. জুনায়েদ অপহরণ মামলার অন্যতম আসামি বনগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়াকে পিছনে দাঁড় করিয়ে বনগ্রাম আনন্দ কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের মিলনায়তনে ভুড়িভোজ করলেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন।
বুধবার (১৫ আগস্ট ২০১৮) দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভুড়িভোজ আয়োজনে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি সোহরাব উদ্দিনের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহাব আইন উদ্দিন ও পুলিশ কর্মকর্তারা।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা সুমন মিয়া এক বিধবার কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করে। পাশবিক নির্যাতনের এ ঘটনায় এলাকাবাসীকে বলে দেয়া এবং মামলা করার কথা বললে ওই বিধবা গৃহপরিচারিকাকে বাড়িতে আটকে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় চালানো হয় নির্যাতন।
ওই নারীর স্পর্শকাতর অঙ্গসহ বিভিন্ন স্থানে নিষ্ঠুর নির্যাতন করে। এ ঘটনার পর এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়।
পরে এলাকাবাসীর চাপে এ ঘটনায় পুলিশ তাকে ধর্ষণের বিপরীতে মারধরের মামলা দেখিয়ে সুমনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। কিন্তু ওই দিনই জামিনে মুক্তি পেয়ে বীরদর্পে বাড়ি ফিরে আসেন যুবলীগ নেতা সুমন।
এক পর্যায়ে সেই কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশই গত ৮ আগস্ট রাতে ওই যুবলীগ নেতা সুমন তার ছোটভাই রাজন ও ফুফাতো ভাই বাবুসহ ৭জনকে আসামি করে মামলা নেয়। এদের মধ্যে রাজন ও বাবুকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অপরদিকে পুলিশ অপহরণ মামলার অন্যতম আসামি সেই যুবলীগ নেতা সুমনকে পলাতক দেখালেও তিনি প্রকাশ্যেই তাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এমনকি থানায় ঘুরাফেরা করার অভিযোগ রয়েছে।
এর আগেও তাকে কিশোরী নির্যাতনের অভিযোগে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা কটিয়াদী মডেল থানার সামনে থেকেই আটক করে পুলিশে দিয়েছিল।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন বলেন, “শুনেছি যুবলীগ নেতা সুমনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা রয়েছে। তবে সে আমার বনগ্রামের অনুষ্ঠানে আমার পিছনে দাঁড়িয়েছিল তা আমি দেখি নাই। আমি দেখলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলতাম।”
সূত্র : যুগান্তর, ১৫ আগস্ট ২০১৮