সংবাদদাতা ||
নিকলী উপজেলায় বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল এক ছাত্রী| ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকাল ২টার সময় উপজেলার গুরই ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে| বাল্য বিয়ের শিকার কনে নাসিমা আক্তার (১২) শ্রীরামপুরের এনাম আলীর মেয়ে| সে গুরুই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী|
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গুরুই ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের এনাম আলীর মেয়ে নাসিমার বিয়ের ব্যবস্থা হয় পাশ্ববর্তি বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া গ্রামের আমান আলীর প্রবাসী ছেলে পিন্টুর সাথে| বিয়ে উপলক্ষে কনের বাড়িতে চলছে আনন্দ উৎসব| অনেক অতিথিও খেতে শুরু করেছে| এমন সময় খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব আলম বিয়ের আসরে পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হন| পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কনে নাসিমাকে ফেলে বাবা-মা অতিথিরা পালিয়ে যায়| পরে নাসিমাকে পুলিশ উদ্ধার করে সাথে তার ২ চাচা আবু বকর ও সায়েমকে থানায় নিয়ে আসে| এর পর এনাম আলী ও তার স্ত্রী আর বাল্য বিয়ে দিবে না এই মর্মে অঙ্গীকারনামা করে কনে ও ২ চাচাকে ছাড়িয়ে আনেন| ঘটনাটি জানতে পেরে বর পিন্টু বিয়ে না করেই মাঝপথ থেকে বাড়ি ফিরে যায়|