নিকলীতে এবার পর্যটকদের ভিড় সামলাতে পুলিশকে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না থাকলেও মানুষকে এখন টানছে এখানকার অপার সৌন্দর্য আর কিছুটা অজানা ঐতিহাসিক নিদর্শন। কিশোরগঞ্জের হাওর-অধ্যুষিত চার উপজেলা হলো নিকলী, মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রাম। এর মধ্যে একমাত্র নিকলী সদরের সঙ্গে ঢাকা ও জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। অন্য তিন উপজেলায় যাতায়াতের মাধ্যম ইঞ্জিনচালিত নৌকা কিংবা লঞ্চ। নিকলী উপজেলা সদরকে রক্ষায় ২০০০ সালে নির্মিত হয় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধ। বর্ষায় এই বাঁধে চারদিক থেকে আছড়ে পড়া হাওরের ঢেউ সমুদ্রসৈকতের অনুভূতি এনে দেয়। গাছের ডালে পাখির কিচিরমিচির।
এ ছাড়া রয়েছে খান মোহাম্মদ উলু খানের মসজিদ, চন্দ্রনাথ গোস্বামীর আখড়া। আছে ঈশা খাঁর স্মৃতিধন্য আদুরিনাথ গোস্বামীর আশ্রম, বটতলা কালীবাড়ি, কানাই শাহর মাজার ইত্যাদি।
নিকলী থানার ওসি এ কে এম মাহবুব রহমান বলেন, চার বছর ধরে হাওরের এই অঞ্চলে প্রচুর পর্যটক আসছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঈদের দিন থেকে এখানে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ নিয়োজিত রাখতে হয়।
জামাল নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘সারা বছর ঢাকায় থাকি। হাওরের এ বাতাস আর সৌন্দর্য কোথায় পাব? তাই বউ-বাচ্চা নিয়ে বেড়াতে এসেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুর রহমান বলেন, সম্প্রতি জেলা প্রশাসক এস এম আলম বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে আসেন। মানুষের ভিড় দেখে তিনি মুগ্ধ। পর্যটকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে তিনি শিগগিরই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে কথা বলে বেড়িবাঁধে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্র : প্রথম আলো