কটিয়াদী প্রতিনিধি ।।
অদম্য মেধাবী ছাত্র রুবেল মিয়ার শিক্ষা উপকরণের জন্য “শিক্ষা বৃত্তি” দায়িত্ব নিয়েছে সামাজিক সংগঠন “আশ্রয়”। রোববার অনলাইন পত্রিকা আমাদের নিকলী.কম সহ সোমবার কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর তা নজরে আসে সংগঠনটির। গত জুলাই মাস থেকে তা কার্যকর হবে বলে জানান সংগঠনটির অন্যতম সদস্য মোঃ আজিজুল ইসলাম মামুন। সোমবার দুপুরে সদস্যদের উপস্থিতিতে (জুলাই ও আগস্ট) মাসের সংগঠনের পক্ষে উপকরণ শিক্ষাবৃত্তি তুলে দেয়া হয় তার হাতে। প্রতিমাসে এই বৃত্তি প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, দিনের বেলায় রাজমিস্ত্রীর যোগালি আর রাতের বেলায় পড়াশুনা। বাবা আলতু মিয়া বেঁচে নেই। ভাঙ্গা ঘরে অসুস্থ বৃদ্ধা মা। তবুও সবকিছু সামলে নিয়ে মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে আচমিতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিশোর রুবেল মিয়া (১৪)। অষ্টম শ্রেণীতে এই প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া একমাত্র বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী সে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন বৃদ্ধা, অসুস্থ মাকে নিয়ে একটি ভাঙ্গা টিনের দোচালা ঘরে বসবাস তার। সপ্তাহে কয়েকদিন এলাকায় কখনো ২০০ টাকা আবার কখনো ২৩০ টাকা মজুরিতে রাজমিস্ত্রীর যোগালিয়া হিসেবে কাজ করে রুবেল। সেই টাকা দিয়েই চলে অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা, সংসার এবং লেখাপড়ার খরচ।
৩ ভাই আর ৪ বোনের মধ্যে রুবেল মিয়া সবার ছোট। বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। ভাই ২ জন আগেই বিয়ে করে অলাদা থাকেন। রুবেল থাকেন তার মা’কে নিয়ে।
একদিকে পড়াশোনা অন্য দিকে সংসারের পুরো দায়িত্ব মাথায় নিয়ে অদম্য মেধাবী রুবেলের এভাবে এগিয়ে যাওয়া অনেকটা কষ্টদায়ক হলেও প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই পায়নি রুবেলের পরিবার। লেখাপড়া নিয়ে প্রতি মুহূর্তে শঙ্কায় রয়েছে রুবেল।