সংবাদদাতা ।।
পারিবারিক কলহের জের ধরে এক শিক্ষিকাকে হয়রানি করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছে একটি চক্র। মঙ্গলবার ১৩ অক্টোবর অভিযোগের তদন্ত করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু তাহের ভূঞা। হয়রানির শিকার শিক্ষিকার নাম নুসরাত জাহান। তিনি নিকলী আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
জানা যায়, শিক্ষিকা নুসরাত জাহান তার শিশুকন্যাকে নিয়ে উপজেলা সদরের বড়হাটিতে ভাড়া থাকেন। বাড়ির অংশীদারিত্ব নিয়ে ভাইয়ে-ভাইয়ে ঝামেলার কারণে ভাড়াটিয়া শিক্ষিকাকে বিরক্ত করে আসছে বাড়ির অপর অংশীদার শফিকুল ইসলাম নামের এক ইলেক্ট্রিশিয়ান। গত ৫ অক্টোবর বাচ্চাদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ওই শিক্ষিকাকে মারতে যায় শফিকুল গং। শিক্ষিকা স্থানীয়ভাবে বিচার প্রার্থী হওয়ায় ৭ অক্টোবর শফিকুল ইসলাম তার এক ভাতিজা ও শিক্ষিকার বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র আশরাফকে নিকলী হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব আলম বরাবরে ওই ছাত্রের বাবা ও শফিকুলের অপর বড় ভাই একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
নিকলী আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিল আফরোজ মুন্নী জানান, “বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী পেটানোর কোনো ঘটনা ঘটলে আমি নিশ্চয় জানতাম। উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক আমি জেনে হাসপাতালে গিয়ে ওই ছাত্রকে দেখে এসেছি। সে সুস্থ্যই আছে।” উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহের ভূঞা জানান, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। এখনো পর্যন্ত সত্যতা কিছুই পাইনি।”
অভিযুক্ত শিক্ষিকা নুসরাত জাহান এ প্রতিনিধিকে জানান, “শফিকুল গং ও দাপ্তরিক চাপে ভীতিকর পরিস্থিতিতে রয়েছি। সংবাদ পরিবেশনের নামে একটি পক্ষ আর্থিক সুবিধা নিতেও আমাকে চাপ দিচ্ছে।”