সংবাদদাতা।।
একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. আফজাল হোসেনের নির্দেশক্রমে কাজী মো. ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে বাল্য বিয়ে নিবন্ধনসহ অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ তদন্ত করেছেন নিকলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম। গত বুধবার ১৪ অক্টোবর দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত জারইতলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই তদন্ত কার্যক্রম চলে। অভিযুক্ত মোঃ ইদ্রিস আলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার ও কাজীর দায়িত্বে নিয়োজিত। ইতিমধ্যে তিনি বাল্য বিয়ে নিবন্ধন ও অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে একাধিকবার দণ্ডিত হয়েছেন বলে জানা যায়। গত ১০ আগস্ট উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর গ্রামের রুছতম আলীর ছেলে ও জারইতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র আফজল হোসেনের (১৫) সাথে একই ইউনিয়নের দণি জাল্লাবাদ গ্রামের মৃত ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে পাপিয়ার (১৪) বিয়ে নিবন্ধন করেন কাজী মোঃ ইদ্রিস আলী।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ওই জাতীয় দৈনিকে “টাকা পেলেই…….” শিরোনামে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আফজাল হোসেনের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি কাজীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ১ম শ্রেণির হাকিম মোহাম্মদ মাহবুব আলমকে তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব আলম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, “কাজীর বিরুদ্ধে আনিত ৩টি অভিযোগের ২টির তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আফজল-পাপিয়ার বিয়ের বিষয়টির জন্য কাজী ইদ্রিস আলী এক দিনের সময় নিয়েছেন।”
উল্লেখ্য, এর আগেও কাজী মোঃ ইদ্রিস আলী একই অপরাধে দু’বার ভ্রাম্যমান আদালতে দণ্ডিত হয়েছেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়।