বিশেষ সংবাদদাতা।।
দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বেকার সময় পার করছেন কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক পণ্ডিত সুকান্ত আচার্য্য। নিবন্ধকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি তার কাছে একটি বিয়েও নিবন্ধন করতে আসেননি উপজেলার কোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বী বর-কনে পক্ষ। বছর বছর সরকার নির্ধারিত ফি’র টাকা গুনাই সার হয়েছে এই নিবন্ধকের।
জানা যায়, নিকলী উপজেলায় প্রায় ১০ সহস্রাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর বাস। প্রতিবছর উপজেলা জুড়ে প্রায় ৩০/৪০টি হিন্দু বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন পাসের পর ২০১৩ সালের ২৫ আগস্ট থেকে নিবন্ধকের দায়িত্ব পান উপজেলা সদরের পণ্ডিত সুকান্ত আচার্য্য। নিয়োগ প্রাপ্তি থেকে অদ্যাবধি ২ বছর অতিক্রান্ত হলেও তার কাছে নিবন্ধনের জন্য আসেনি কোনো হিন্দু বর-কনে পক্ষ। ফলে উপজেলা জুড়ে হিন্দু বিয়ে নিবন্ধনের হার রয়ে গেছে শূন্যের কোটাতেই।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, নিকলী শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপুল দেবনাথ বলেন, উপজেলা জুড়ে হিন্দু বিয়ে নিবন্ধন শূন্যের কোটায় শুনে দুঃখ পেলাম। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অসচেতনতাই এর জন্য দায়ী। রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের নানা প্রয়োজনে বিয়ের নিবন্ধন প্রয়োজন। দাম্পত্য জীবনের নানা সমস্যায় আইনি সহায়তা পেতেও নিবন্ধনের প্রয়োজন। সবারই বিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে।
উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী সজল দাস বলেন, হিন্দু বিয়ে নিবন্ধন আইনটি প্রয়োগের ক্ষেত্রেও যথাযথ কড়াকড়ি নেই। এর সুযোগ নিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বাল্য বিয়ে থেমে নেই। নিকলী উপজেলা হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক পণ্ডিত সুকান্ত আচার্য্য এ প্রতিনিধিকে জানান, এভাবে পেশায় টিকে থাকা দায়। অদ্যাবধি একটি বিয়েও নিবন্ধন না হওয়ায় হতাশায় ভুগছি। পুরুহিতদের নিয়ে নিবন্ধনবিষয়ক প্রণোদনামূলক কার্যক্রম সরকারি, বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে অনেক কাজ হতো।