আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের কর্তৃপক্ষ কুকুরের মাংস না খাওয়ার জন্য নগরীর বাসিন্দাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। কারণ তারা মনে করছেন, লোকজন কুকুরের মাংস খেলে সেটা নগরীর ভাবমূর্তি ক্ষু্ণ্ন করে। আর কুকুরের মাংস খেলে জলাতংক ছড়ানোরও আশংকা আছে।
হ্যানয় পিপলস কমিটি বলছে, হ্যানয় যে একটি সভ্য এবং আধুনিক রাজধানী, সেই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে লোকজন কুকুরের মাংস খাওয়ার কারণে। এছাড়া কুকুরের মাংস খেলে জলাতংক বা লেপটোপিরোসিসের মতো রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও তারা সতর্ক করে দিয়েছে।
হ্যানয়ের প্রায় ১০০০ দোকানে এখনো কুকুর এবং বিড়ালের মাংস বিক্রি হয়। বিড়ালের মাংস খাওয়া বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছে হ্যানয় পিপলস কমিটি। ভিয়েতনামে কুকুরের মাংসের মতো অত জনপ্রিয় নয় বিড়ালের মাংস। কিন্তু তারপরও অনেক জায়গায় বিড়ালের মাংস কিনতে পাওয়া যায়। এসব প্রাণীকে যে অনেক সময় নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয় সেকথা উল্লেখ করেছে হ্যানয় কর্তৃপক্ষ। হ্যানয়ে আনুমানিক ৪, ৯০,০০০ কুকুর ও বিড়াল আছে। এদের বেশিরভাগই পোষা প্রাণী।
কুকুরের মাংস খাওয়া নিয়ে ভিয়েতনামের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গীতে সাম্প্রতিককালে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বহু মানুষই এখন আর কুকুরের মাংস খাওয়া পছন্দ করে না, বলছেন বিবিসির ভিয়েতনামী ভাষা বিভাগের সাংবাদিক লিন নগুয়েন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যানয় কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক মানুষ। কিন্তু অনেকে বলেছেন, ভিয়েতনামের মানুষ সহজে কুকুরের মাংস খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করবে বলে তারা মনে করেন না।
ফেসবুকে ডাং নগোক কোয়াং নামে একজন বলেছেন, কুকুরের মাংস পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা ঠিক হবে না। কারণ সেটা হবে মানুষের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ। পরিবর্তে তিনি কুকুরের মাংসের ওপর বেশি হারে কর বসানো এবং শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে কুকুরের মাংস বিক্রির পরামর্শ দিয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি বাংলা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮