আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, প্রবাসীদের পরিবারকে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। প্রবাসীরা হচ্ছেন দেশের গোল্ডেন বয়। কারণ আপনাদের পাঠানো রেমিটেন্সে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮) স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদ নিবন্ধনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলামের অনুষ্ঠান পরিচালনায় উদ্বোধনী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে প্রবাসী ব্যাংক চালু করা হয়েছে। এ ব্যাংকের মাধ্যমে যারা বিদেশ গমন করতে চান তাদের লোনের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে; যাতে স্বল্প খরচে বিদেশ গমন করতে পারেন।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের ছেলেমেয়ে যাতে স্বল্প খরচে লেখাপড়া করতে পারে সে ব্যবস্থাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের দেশে স্বল্প খরচে বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রতিটি জেলায় জেলায় প্লটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া প্রবাসীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দরে ইউনিফরম পরিহিত টিম থাকবে। কোনো সমস্যা হলে তাদের আপনাদের অভিযোগের কথা বলবেন।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে আমার মন্ত্রণালয়ের দরজা সব সময় খোলা। কোনো অভিযোগ থাকলে সরাসরি তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কোনো ধরনের সিন্ডিকেশন হবে না। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সব এজেন্সিই কাজ করতে পারে, এমন প্রপোজাল মঙ্গলবার ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে আলোচনা হবে। ৫৬ এজেন্সির যে কথা উঠেছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম তার বক্তব্য বলেন, দূতাবাস সবসময় প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনো কাজ করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বে পরিশ্রমী জাতি হিসেবে বাংলাদেশিদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখার দায়িত্ব যেমন সরকারের, তেমনি অন্য সবারও।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় কর্মরত অন্যান্য দেশের নাগরিকদের তুলনায় এ দেশের আইনকানুন, নিয়ম, শৃঙ্খলা মেনে চলার ব্যাপারে আলাদা অবস্থান তৈরি করেছে। এটি মালয়েশিয়ার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকার সবাই বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, সব প্রবাসীর সম্পদের সুরক্ষা ও নানাবিধ অসুবিধা দূরীকরণে শেখ হাসিনার সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দুদেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ও আমাদের শ্রমিকদের সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে ও আলোচনা হবে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজা ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, ডেপুটি হাইকমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ, মিনিস্টার পলিটিক্যাল মো. রইছ হাসান সারোয়ার, ডিফেন্স উইং প্রধান এয়ার কমোডর মো. হুমায়ূন কবির, প্রথম সচিব শ্রম মো. হেদায়েতুল ইসলাম, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার উইং প্রধান মো. মশিউর রহমান তালুকদার, কমার্শিয়াল উইং প্রধান মো. রাজিবুল আহসান, ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. মাসুদ আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মকবুল হোসেন মুকুল, কামরুজ্জামান কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন পান্না, মো. রেজাউল করিম রেজা, ওয়াহিদুর রহমান ওহিদ, রাশেদ বাদল, এ কামাল হোসেন চৌধুরী, মনিরুজ্জামান মনির, শাখাওয়াত হক জোসেফ, যুবলীগের তাজকীর আহমদ, জালাল উদ্দিন সেলিম, মো. সাইদ সরকার, সোহাগ সরকার, সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল, শাহ আলম হাওলাদারসহ কমিউনিটির শতাধিক নেতারা।
সূত্র : যুগান্তর, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮