আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে নদী সুরক্ষা খুবই জরুরি। আগামীকাল ৩০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮) এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উদ্যোগে বিশ্ব নদী দিবস পালন এবং দিবসটির সাথে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশে এটিকে জাতীয় নদী রক্ষা দিবস হিসেবে উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নদীকে চরম হুমকির মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বাংলাদেশের নদীগুলো আজ বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন। নদী ও নদীর তীরভূমি, ফোরশোর অবৈধভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু নদী ভরাট, নাব্যতাহীনতা এবং দখল, দূষণের কারণে ইতিমধ্যে মৃত ও বিলুপ্তপ্রায়। জীববৈচিত্র্য, নদীর পানি ও পরিবেশ ক্রমান্বয়ে দূষিত ও নষ্ট হয়ে পড়েছে।
আবদুল হামিদ বলেন, “পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতাগুলো নদীকেন্দ্রিক। আমাদের সভ্যতা, সমাজ, অর্থনীতি, জীবনব্যবস্থা প্রাচীনকাল থেকেই নদীভিত্তিক। নদীকে কেন্দ্র করেই আমাদের বৃদ্ধি ও বিকাশ। নদীই আমাদের জাতির প্রাণশক্তি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিদ্যমান সভ্যতার ধারক ও বাহক।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক নদী প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট নানাবিধ কারণে বিনষ্ট হচ্ছে। সামাজিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে সব ধরণের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে নৌপরিবহন ইতিবাচক অবদান রাখে। রাষ্ট্রপতি বলেন, এছাড়া অর্থনীতি-রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির উৎস ও মূল চালিকাশক্তিও নদী।
তিনি বলেন, নদীর অবৈধ দখল, দূষণ, পরিবেশ দূষণ, অবৈধ কাঠামো নির্মাণ ও নানাবিধ অনিয়ম রোধকল্পে কমিশনকে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধার, নদীর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ এবং নৌপরিবহনযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলাসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের শক্তিশালী পদক্ষেপ বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ফলপ্রসূ অবদান রাখবে। বাসস