বিশেষ প্রতিনিধি ।।
নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মো. ইমরানুর রহমানের বিরুদ্ধে আসামি কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে মেডিকেল রিপোর্ট প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগদাতা মো. আফিজ উদ্দিন উপজেলা সদরের বুধু মিয়ার পুত্র।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিকলী উপজেলা সদরের নুর মামুদের তালাপ পাড় গ্রামের আলফাজ উদ্দিনের মাথা ও আছিয়া বানুর নাক কাটাসহ রক্তাক্ত জখম হয়। একই দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মো. ইমরানুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর সাধারণ জখম উল্লেখ করে ডাক্তার ইমরানুর রহমান মেডিকেল রিপোর্ট প্রদান করেন।
মো. আফিজ উদ্দিন তাদের প্রতিপক্ষ কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে মেডিকেল রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে মর্মে ডা. ইমরানুর রহমানের বিরুদ্ধে ২ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ডা. ইমরানুর রহমান কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রিপোর্ট প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আঘাতের ধরন অনুযায়ী রিপোর্ট দিয়েছি। কারো মনমতো রিপোর্ট না দেয়া হলে কেউ অভিযোগ করতেই পারেন। অপরাধ করে থাকলে সাজা মেনে নিতে আমিও বাধ্য।
উল্লেখ্য, ৩ সেপ্টেম্বর বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধে উপজেলা সদরের নুর মামুদের পুকুরপাড় গ্রামের মো. বুধু মিয়া ও কানু মিয়ার মধ্যে রক্তক্ষয়ী ঝগড়া হয়। বুধু মিয়ার পুত্র মো. আফিজ উদ্দিন বাদি হয়ে কানু মিয়া ও তার পুত্র কাঞ্চন মিয়াকে আসামি করে নিকলী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৮(৯)১৮। কানু মিয়ার পক্ষেও একটি পাল্টা মামলা করা হয়েছে বলে অপর একটি সূত্র জানায়।