বিশেষ প্রতিনিধি ।।
দিনব্যপি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শনিবার (৬ অক্টোবর ২০১৮) বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়র রহমানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দেশের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান এই বীরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে তাঁর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মরহুমের পরিবার।
বিকালে উপজেলার পুরান বাজারের শিমুল শপিং কমপ্লেক্সের ৩য় তলায় স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বক্তিবর্গসহ সহস্রাধিক জনতা এতে অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা জাসাস আহ্বায়ক কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণ করেন উপজেলা যুবদল সভাপতি আতিকুল হক হেলিম, সহযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ডা. কফিল উদ্দিন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব কারার মাহমুদুল হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিক কারার গিয়াস উদ্দিন আহম্মদ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন মরহুমের জামাতা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক তত্ত্ব ও গবেষণা সম্পাদক শফিকুল আলম রাজন। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা শাহাবুদ্দিন।
স্বাধীনতা সংগ্রামকালীন ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র মতিয়র রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে যোগ দেন বড়ছরা ৫ নং সাব-সেক্টরে। তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্ত্বা ও সাহসের জন্যে তাঁকে কোবরা কোম্পানী কমান্ডারের দায়িত্ব দেয়া হয়। তাঁর নেতৃত্বে কিশোরগঞ্জ সদর, নিকলী, গচিহাটা, সাচনা, সুনামগঞ্জ, করিমগঞ্জ, অষ্টগ্রাম, বালিয়াবাড়িসহ অনেক যুদ্ধে অংশ নেয় কোবরা কোম্পানী।
অদম্য সাহস, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্ত্বা ও বিচক্ষণতা বিচারে ১৯৭২ সালে তিনি বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত হন। যুদ্ধ শেষে স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। অবসর জীবনে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দিয়ে আমৃত্যু উপজেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে ১ কন্যা জেনী (গৃহিনী), ১ পুত্র জোসেফ (কাস্টমস অফিসার) সন্তানের জনক এই মহান বীর ২০১১ সালের ৬ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।