বিশেষ প্রতিনিধি (কিশোরগঞ্জ) ।।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেছেন, “এ দেশের রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, বড় বড় আমলা, বিচারপতি পুলিশের আইজি, সেনাবাহিনী প্রধান, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, কেবিনেট সেক্রেটারি, সচিব এবং এই ধরনের যারা আছে তারা একটু বড় হইয়া গেলে, নামিদামি হয়ে গেলে, মানুষকে আর মানুষ মনে করে না। এটা একদম ঠিক না। মানুষকে মানুষ মনে করতে হবে এবং জনগণের প্রতিনিধি যারা তাদেরকে আরো বেশি মানুষকে মানুষ মনে করতে হবে। কারণ জনগণের ভোটেই তারা প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। জনগণের ভোটে প্রতিনিধি হইয়া তাদের উপরেই আবার মাতাব্বরি দেখাইবা বেডাগিরি দেখাইবা এটাতো হতে পারে না। জনগণের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমি রাজনীতি করে যে এতো বড়ো হয়েছি এর অবদান কিশোরগঞ্জের সাধারণ মানুষের। আমার রাজনীতির তীর্থস্থান, পীঠস্থান যাই বলেন এ শহরের প্রতিটি দোকানদার এবং যারা জুতা সেলাই করতো, জুতার মধ্যে কালি করতো, পান চুন বিক্রি করতো, সব দোকানদারের কাছ থেকে আমি পাকিস্তান আমলে চান্দা তুলে রাজনীতি করেছি। কিশোরগঞ্জের প্রতিটি মানুষ, তাদের কাছে আমি ঋণী। কিশোরগঞ্জের রিকশাওয়ালাদের কাছে আমি ঋণী, কারণ রাজনীতি করার সময় যখন আমি হরতাল করেছি তখন তারা আমার কথায় রিকশা নিয়ে রাস্তায় নামে নাই। উপরন্তু তারা আমাকে পয়সা দিয়ে সাহায্য করেছে। এর জন্য আমি কিশোরগঞ্জের মানুষের কাছে ঋণী। সাধারণ মানুষের কাছে ঋণী। তাদের প্রতিটি সুখ দুঃখে আমি পাশে থাকতে চাই। আমি কোনো মতেই অস্বীকার করতে পারবো না কিশোরগঞ্জের মানুষের অবদানের কথা। এর জন্যই আমি মনে করি আমি যে রাষ্ট্রপতি, এই যে আমার সম্মান, এটা কিশোরগঞ্জবাসীর সম্মান, এটা তাদেরই পাওনা।”
সোমবার (৮ অক্টোবর ২০১৮) বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সরকারি গুরুদয়াল কলেজ মাঠে কিশোরগঞ্জবাসীর উদ্যোগে রাষ্ট্রপতিকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় কিশোরগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে মো. আবদুল হামিদকে এই গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
তাঁর নিজ জেলাবাসীর সংবর্ধনার জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমার নিজের কিশোরগঞ্জ আপন কিশোরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ আমার পরম আত্মীয় আত্মার আত্মীয়। আজকে এই মাঠে এসে আমার অতীতের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। এই যে গুরুদয়াল কলেজ এ মাঠ থেকে আমার রাজনীতি শুরু। যদিও স্কুলে থাকতে আমি রাজনীতি করেছি দুই বছর। আমার রাজনীতির নেতৃত্ব কিন্তু এই গুরুদয়াল কলেজ থেকেই শুরু। ১৯৬১ সালে আমি মেট্রিক পাস করে এই গুরুদয়াল কলেজে ভর্তি হই। এই ‘৬১ সালে তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ফোটো ভাঙ্গা দিয়ে আমি রাজনীতি শুরু করেছিলাম। আমার রাজনীতির ৫৮ বছর হয়ে গেছে। আমার পড়াশোনা স্কুল-কলেজ হলেও এই কিশোরগঞ্জের মাটি, এই কিশোরগঞ্জের মানুষ, আমার রাজনীতির বিশ্ববিদ্যালয়। এই মানুষের কাছে আমি রাজনীতি শিখেছি। আমি রাজনীতি করাকালীন এ কিশোরগঞ্জে আমি রিকশা সংগঠন করেছি, রিকশাওয়ালা ভাইদের নিয়েও আমি রাজনীতি করেছি। মুটে, শ্রমিক, ঠেলাগাড়ি শ্রমিক, এদেরকে নিয়েও আমি রাজনীতি করেছি, সংগঠন করেছি। হোটেল, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, তাদেরকে নিয়ে আমি রাজনীতি করেছি। প্রতিটি শ্রমজীবি মানুষকে নিয়ে আমি রাজনীতি করেছি।”
রাষ্ট্রপতি স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমার মনে পড়ে এই গুরুদয়াল কলেজের তখন প্রিন্সিপাল ছিলেন ওয়াসিমুদ্দীন স্যার। এই ওয়াসীমুদ্দীন স্যারসহ যারা তখন শিক্ষক ছিলেন, কেন জানি না শিক্ষকরা সাধারণত ভালো ছাত্রদেরকে পছন্দ করেন; কিন্তু আমি ভালো ছাত্র না হওয়া সত্ত্বেও কেন জানি আমাকে পছন্দ করতেন তাঁরা। সেটা আমি আজো জানি না। তাঁরা আমাকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। এই কিশোরগঞ্জবাসীর দোয়ায় আমার মতো একজন সাধারণ মানুষ বাংলাদেশের দুই দুইবার রাষ্ট্রপতি হয়েছি। এটা আমার বড়ো পাওয়া এবং আমি মনে করি এ পাওয়া আমার না, সমস্ত কিশোরগঞ্জবাসীর এই পাওয়া। আমি জানি কিশোরগঞ্জবাসী আমার জন্য দোয়া করেছে। তারা আমার সাফল্য কামনা করেছে। তাদের আন্তরিক কামনাতেই হয়তো আমি দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রপতি হয়েছি। আসলে এটা চরম পাওয়া এই জন্য যে, এ উপমহাদেশে এরকম দ্বিতীয় নজির আর নেই।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, “আজকে আমার ছোট ভাই সৈয়দ আশরাফ আমি প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার সময় যে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছিলো কিশোরগঞ্জের পুরাতন স্টেডিয়ামে সে সংবর্ধনায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। আজকে আমার দুঃখ লাগে তিনি আজ পাশে নাই কারণ তিনি অসুস্থ। তবে আজকে আমি আশা করি, পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আপনারাও করবেন তিনি যেনো অচিরেই আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। এবং আবারো যেনো রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।”
রাষ্ট্রপতির বক্তব্য দেয়ার আগে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও এলাকার জনপ্রতিনিধিরা কিশোরগঞ্জের উন্নয়নে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন।
এসব বিষয়ে রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “আমি একটা কথা বলতে চাই, যেসব দাবি-দাওয়ার কথা আপনারা বলছেন, এই দাবি-দাওয়া সব আমি জানি। কারণ এ কিশোরগঞ্জ শহরের এমন কোনো বাড়ি নাই, অলি গলি নাই, রাস্তাঘাট নাই যেখানে আমি বহুবার যাই নাই। এই কিশোরগঞ্জ থানার এমন কোনো ওয়ার্ড-ইউনিয়ন নাই যেখানে আমি যাই নাই। সুতরাং সদর থানাসহ সারা কিশোরগঞ্জ জেলার আমার নির্বাচনী এলাকা যেটা ছিলো সেটা ছাড়াও এ জেলার এমন কোনো ইউনিয়ন নাই যে ইউনিয়নে আমি ১০, ২০, ৩০, ৪০ বার যাই নাই। এ জেলার এমন কোনো গ্রাম নাই যে গ্রামে আমি যাই নাই। সুতরাং এই কিশোরগঞ্জের সমস্ত কিছু আমি জানি। যেসব দাবি-দাওয়া আপনারা করেছেন কিশোরগঞ্জের প্রাণের দাবি এগুলি। এবং সেটা আমারো মনের দাবি, প্রাণের দাবি। এ দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমি একবার বছর দুয়েক আগে আজিমউদ্দিন হাই স্কুলে এসেছিলাম তখন কিশোরগঞ্জে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করে দেয়ার কথা আমি বলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা হয় নাই। আমার পরে শুরু করে নেত্রকোনায় কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গেছে। আমি সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর নিয়োগ দিয়েছি। কিশোরগঞ্জে এটা আমি এখনো করতে পারি নাই। এটা আমার ব্যর্থতা। তবে আমি ব্যর্থ থাকতে চাই না। খুব তাড়াতাড়ি কিশোগঞ্জে একটা পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হবে। এবং এ বছরই এটা হবে। আমি আজকেই চলে যাচ্ছি না। আমি কালকে আছি এবং পরশুদিন বিকালে যাবো। এবং দু’ একটা সাইট আমি ঘুরে দেখবো, কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় করা যায়, এর মধ্যে আমি যদি সিদ্ধান্ত দিয়ে যেতে পারি দিয়ে যাবো। না দিয়ে যেতে পারলে আমি একটা কমিটি করে দিয়ে যাবো। উনারা বইসা অচিরেই কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় করলে ভালো হবে এটা নির্বাচন করে দিবেন। জায়গা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু করার জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হবে।”
কিশোরগঞ্জে আধুনিক ট্রেনের দাবি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, “এটা যৌক্তিক দাবি। ঢাকা থেকে ভৈরব আইসা ট্রেন আধা ঘণ্টা থেকে পৌনে এক ঘণ্টা অপেক্ষা কইরা ইঞ্জিন ঘুরাইয়া কিশোরগঞ্জ আসতে হয়। যাওয়ার সময় আবার ইঞ্জিন ঘুরাইয়া ভৈরবে আধা ঘণ্টা এক ঘণ্টার জন্য থাকতে হয়। এজন্য একটা বাইপাস করে দিলেই ট্রেন সরাসরি কিশোরগঞ্জ আসতে পারে। এটার জন্য আমি ডিও লেটার দিয়েছি। আমি কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরেই খুব দ্রুত রেলমন্ত্রী ও রেল সচিবকে আমি বঙ্গভবনে ডাকাইয়া আনবো। এ ব্যাপারে যেনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয় এবং আমাদের ট্রেনের যে সমস্যা এগুলো দূর করা হয়। আমি প্রথম রাষ্ট্রপতি হয়ে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বাড়িয়েছিলাম। চাহিদার প্রয়োজনে এখন আবার একটা নতুন ট্রেনের দরকার এবং ট্রেনের কোচ এবং বগি বাড়ানো প্রয়োজন। এটারও ব্যবস্থা হবে।”
রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তৃতায় এক পর্যায়ে স্বভাবসুলভ রসিকতায় বলেন, “আমি রাজনীতি করেছি কোনো সময় কিন্তু আমার সাথে আসে না। বউতো আবার না কইলে বিপদ। মানে আমার স্ত্রী আর ইংরেজিতে যাকে বলে ওয়াইফ। যাই বলেন আজকে কিন্তু সে আমার সঙ্গে আইসা পড়ছে। তাকে নিষেধ দিছলাম, তুমি দিছলাম যে তুমি যাবে কেনো। সে বললো তুমি গুরুদয়াল কলেজের ছাত্র আমিওতো গুরুদয়াল কলেজের ছাত্রী। যাবো না কেনো, দেখলাম যে তারও অধিকার আছে, তাও আবার আসছে টিয়া রঙ্গের শাড়ী পইড়া। টিয়া রঙের শাড়ি পইড়া মন রঙিন করলে কি হইবো তোমার শরীরতো আর সেরকম রঙিন নাই।”
রাষ্ট্রপতি রাজনীতিতে তাঁর স্ত্রীর অবদান তুলে ধরে বলেন, “আমার দীর্ঘ রাজনীতি ৬১ সালে শুরু করলেও বিয়ার কাজতো ৬৪ সালে করেছিলাম। আজ থেকে ৫৪ বছর আগে। আমি কলেজে ছাত্রলীগ করার সময় তখন কোনো ছাত্রী রাজনীতিতে আসতে চাইতো না ছাত্রলীগ করার জন্য। তখন কি করবো এই সবেদন নীলমনি ঘরে একজন আছে। সে-ই ছাত্রী, তাকেই ছাত্রলীগ বানাইলাম। আবার আওয়ামীলীগে যখন মহিলারা আসতো না তারে নিয়েই শুরু করলাম, বললাম তুমিই শুরু করো। তার অবদান আমি অস্বীকার করি না কারণ সে ৬৪ সালে আমার সঙ্গে বিয়া বসার পর থেকে ছাত্রজীবনে আমার কাছে যে ছাত্র ভাইয়েরা আসতো তাদেরকে সে চা বানাইয়া খাওয়াইছে। তখন গ্যাস ছিলো না, লাকড়ির চুলা আর কেরোসিনের চুলায় চা বানাইয়া খাওয়াইছে।”
এ সময় রাষ্ট্রপতি হাস্যরসের সঙ্গে বলেন, “আমার কপাল ভালো বউডা আমার বাইট্টা। যদি বেশি লম্বা টম্বা থাকতো তাহলে মনে হয় কোমরডা বাঁকা হইয়া গেলো অইলে চা বানাইতে-বানাইতে। এজন্য তাকে এখানে নিয়ে আসলাম কারণ তুমিও দেখো আমার রাজনীতি যে কলেজ থেকে আমার রাজনীতির শুরু, আমার মনে হয় আজকে এই সভার মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘোষণার পর্যায়ে এসে দাড়াইছে। আমি রাষ্ট্রপতি হয়েছি আরতো আমার রাজনীতির সুযোগ নাই।”
আবদুল হামিদ বলেন, “আজকে আমাকে কেউ কেউ ভোটের ব্যাপারে বলে গেছেন, আমি কিন্তু ভোটের কথা বলতে পারি না। আমি রাষ্ট্রপতি, নিরপেক্ষ লোক। তবে আমি আপনাদেরকে পরামর্শ দিবো ভাই হিসেবে, অন্য হিসেবে, আপনাদের সন্তান হিসেবে, আপনারা এমন দলকে ভোট দিবেন যে দলকে ভোট দিলে সার্বিক কল্যাণ হবে। দেশের স্বার্থ রক্ষা যারা করবে তাদেরকেই আপনারা ভোট দিবেন। আপনারা তাদেরকে ভোট দিবেন না যারা সরকারের কোনো কাজ করতে গিয়া কন্ট্রাকটারের কাছ থাইকা পয়সা নিয়া কাজের মান খারাপ করাইয়া দিতে চায়। টিআর কাবিখা যারা বিক্রি করে দিবে এ ধরনের লোককে আপনারা ভোট দিবেন না। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে আমি বলবো, আপনারা ভালো মানুষকে নমিনেশন দিবেন। যারা মানুষের সাথে বাহাদুরি দেখাইবো বেডাগিরি দেখাইবো এ ধরনের লোককে নমিনেশন দেয়া ঠিক হবে না।”
জেলা গণসংবর্ধনা কমিটি আয়োজিত এই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান। এতে অন্যদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রেসিডেন্টপুত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য দিলারা বেগম আসমা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, জেলা ন্যাপ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক খান রতন, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, জেলা জেএসডি সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন রেনু, জেলা সিপিবি সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা জাসদ সভাপতি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম নূরু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বকুল, সাবেক প্রচার সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার কামাল, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শফিকুল গণি ঢালী লিমন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পিপি শাহ আজিজুল হকের সঞ্চালনায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গণসংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক প্রেসিডেন্টের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ মানপত্র পাঠ করেন।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা সদর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে নানা সাজে বাদ্য বাজিয়ে এবং বর্ণাঢ্য মিছিল নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিপুলসংখ্যক মানুষ হাজির হন।
এর আগে দুপুর সোয়া ২টার দিকে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ হেলিকপ্টারযোগে কিশোরগঞ্জ শহরের আলোর মেলা এলাকার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। পরে বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রেসিডেন্ট সরকারি গুরুদয়াল কলেজ মাঠের গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান। প্রেসিডেন্টের তিন দিনের এই সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর ২০১৮) প্রেসিডেন্টকে পেশাজীবনের স্মৃতি বিজড়িত জেলা আইনজীবী সমিতিতে সংবর্ধনা দেয়া হবে। বেলা সাড়ে ১১টায় জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।