মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, কেবলমাত্র শাশ্বত ধর্ম ইসলামই নারীকে তার ন্যায্য অধিকার দিয়েছে। সম্মান দিয়েছে। কিন্তু নারী সমাজ তাদের নিজ মর্যাদা না বুঝে আধুনিকতার সাথে গা ভাসিয়ে পর্দাহীন চলাফেরা করার কারণে নারী নির্যাতন ব্যাপক হারে বেড়েছে।
গতকাল রোববার (১৪ অক্টোবর ২০১৮) দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসায় বোখারী শরীফের পাঠদানকালে ৫০৩৬ নং হাদীসে ব্যাখ্যায় শরয়ী পর্দা সংক্রান্ত আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
আল্লামা বাবুনগরী আরো বলেন, পবিত্র কুরআনের সাতটি আয়াত এবং প্রায় সত্তরটির মতো হাদীস দ্বারা সর্বপ্রকারের বেপর্দা হারাম হওয়া সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়। ইসলাম নারীকে যে মর্যাদা দিয়েছে অন্য কোনো ধর্ম নারীকে এ মর্যাদা দিতে পারেনি। বাবার ঘরে মেয়ে হিসেবে নারীর মর্যাদা রয়েছে। স্বামীর ঘরে স্ত্রী হিসেবে এবং নিজ ছেলেমেয়ের জন্য “মা” হিসেবে ইসলাম নারীকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছে। নারীদের মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি জীবনের সকল স্তরে নারীদের ন্যায্য অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে শুধুমাত্র ইসলাম।
তিনি বলেন, নারী-পুরুষ সমান অধিকার এটা কখনো সম্ভব নয়। সমান অধিকারের স্লোগানদাতারা মূলত সমান অধিকারের নামে নারীদের মাঠে নামিয়ে ভোগের পণ্য করতে চায়। তাই এদের থেকে নারী সমাজকে সতর্ক থাকতে হবে।
শরয়ী পর্দা নারীর ভূষণ, ইজ্জত আবরু রক্ষার অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু আজ নারীসমাজ পশ্চিমাদের তালে তাল মিলিয়ে বেপর্দা চলাফেরা করে নিজের ইজ্জত আবরু বিনষ্ট করছে। মানবরুপী নরপশু লম্পটদের ইভটিজিং-এর শিকার হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে নারী নির্যাতনের ঘটনা চরম আকার ধারণ করেছে। পত্রিকার পাতা উল্টালেই নারী নির্যাতনের ভয়াবহ সংবাদ চোখে পড়ে। শিশু থেকে শুরু করে সত্তর বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত আজ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। শুধু নির্যাতনই নয় নির্যাতনের পর নির্মমভাবে হত্যাও করা হচ্ছে তাঁদের।
নারী নির্যাতনের একমাত্র কারণই হচ্ছে বেপর্দা, নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা। তাই এগুলো প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হিসেবে ইসলামী অনুশাসন ও শরয়ী পর্দা মেনে চলার আহ্বান জানান হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।