বিশেষ প্রতিনিধি ।।
সংসদীয় আসন কিশোরগঞ্জ-৫ এর নিকলী-বাজিতপুর সংযোগ সড়কটি খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। নিত্য দুর্ঘটনা লেগেই আছে। বিকল্প না থাকায় মৃত্যু ঝুঁকি নিয়েই সড়কটি ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ।
জনশ্রুতি রয়েছে, টানা ৫ বার দখলে থাকা সংসদীয় আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হওয়ার কয়েকটি কারণের মধ্যে এই সড়ক একটি বিশেষ কারণ। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট প্রার্থীদের পরাস্ত করা আলহাজ্ব মজিবুর রহমান মঞ্জুর ২য় নির্বাচনী ইশতেহারে সড়কটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ছিলো।
সংসদ সদস্য থাকাকালীন তিনি সড়কটি নিয়ে উদাসীন থাকায় জনরোষ দানা বাঁধে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সড়কটি নির্মাণ হয়। ভোটারদের আস্থা আর ফিরে পাননি বিএনপির এই সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামীলীগের সম্পূর্ণ নতুন মুখ শিল্পপতি আলহাজ্ব আফজাল হোসেনের নিকট বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। অদ্যাবধি সড়কটির সংস্কার হয়নি।
জানা যায়, ১৮১৮ সালে নিকলী ও ১৮৩৫ সালে বাজিতপুর থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এমনকি বর্তমান বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহেরও একদিন পূর্বে ১৮৬৪ সালে বাজিতপুর পৌরসভার জন্ম। প্রাচীন শহর হিসাবে কোর্ট-কাচারি থেকে শুরু করে সরকারি দপ্তরগুলি বাজিতপুরকেন্দ্রিক। কালের আবর্তে এখন নিকলীবাসীর স্থানীয়ভাবে দপ্তরিক কাজ-কর্ম সারতে পারলেও পারিবারিক আদালত, পুরাতন কাগজপত্রের জন্য বাজিতপুরের ওপরই নির্ভরশীল।
১৯৯৬ থেকে বাজিতপুরের অধিবাসীই অদ্যাবধি সংদস সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। সব মিলিয়ে দুই উপজেলার বাসিন্দাদের নিত্য যোগাযোগ অত্যাবশ্যকীয়। আর এর একমাত্র মাধ্যম এই সড়কটি। এ ছাড়াও এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে জারইতলা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, রসূলপুর হানিফ ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয়, কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ একাধিক হাট-বাজার ও ইটখলা রয়েছে।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রহিম মুহীন জানান, ইতিমধ্যেই নিকলী হতে বাজিতপুরের সীমানা পর্যন্ত সাড়ে ৭ কিলোমিটার সড়কটি পুনঃনির্মাণে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করা হবে।