কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষকদল ও নিকলী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মতিয়র রহমান বীর বিক্রম-এর মৃত্যুর পর নিকলী উপজেলা বিএনপি প্রায় নেতৃত্বশূণ্য হয়ে পড়ে। ম্যাডাম খালেদা জিয়া লন্ডন যাবার আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন, “তৃণমূল পর্যায়ে ওয়ার্ড থেকে শুরু করে জেলা পর্যায় পর্যন্ত সুষ্ঠু কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে।” কিন্তু আমাদের কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় দেখা গেল ভিন্নরূপ। জেলা কমিটি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত নিকলী উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টে ওকালতি করার সুবাদে কিশোরগঞ্জেই অবস্থান করেন। তিনি ইউনিয়ন পকেট কমিটিগুলিও দিয়েছেন ঢাকা বসে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেক নেতাই কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাধারণ-সম্পাদককে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার জন্য বলেন। আসা করেছিলাম জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ নিকলী উপজেলা বিএনপি’র সকলকে নিয়ে একটি সুন্দর এবং শক্তিশালী কমিটি উপহার দিবেন। নিকলীতে বিএনপি’র কমপে ৩/৪টি গ্রুপ থাকায় একাধিক গ্রুপ কাউন্সিল চাইলেও জেলা বিএনপি তা আমলে নেননি। কিন্তু শেষব্দি জেলা বিএনপি কেন্দ্রের নির্দেশনা ব্যতিরেখে তাদের পকেট থেকে একটি উপজেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঢাকা বসে উপহার দিয়েছেন। যাতে উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আপন ফুফাত মামত ভাই। নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদও খাবার হোটেল ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার সুবাদে ফ্যামিলিসহ কিশোরগঞ্জেই অবস্থান করেন। এখানে একটি বিষয় ল্যণীয় যে, আওয়ামীলীগ যেভাবে সর্বেেত্র দলীয় করন করছে। আমাদের এই নিকলী উপজেলার নবগঠিত বিএনপি’র কমিটিও আত্মীয়করণের অভয়ারণ্য। এখানে যোগ্যতা কোন বিষয় নয় অনেক পরীতি সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে বাদ দিয়ে উপজেলা সভাপতি এ্যাডঃ বদরুল মোমেন মিঠু তার আত্বীয় স্বজনকে রেখে কমিটিটি অনুমোদন করে এনেছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম যে, কমিটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে মোটা অংকের টাকাও নাকি বিনিময় হয়েছে যে কারণে কেন্দ্রের কোনো নির্দেশনাই জেলা বিএনপি তোয়াক্কা করেনি। এতে করে নিকলী উপজেলা বিএনপি এত বেশি দুর্বল ও মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়েছে যা কিছুদিন গেলেই বোঝা যাবে।
আবদুল মান্নান : সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, নিকলী উপজেলা যুবদল।