বিশেষ প্রতিনিধি ।।
দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির বিষয়ে একটি তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি আগামী ছয় মাসের মধ্যে আদালতে এ প্রতিবেদন এফিডেভিট আকারে দাখিল করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করেছে আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে আনা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর ২০১৮) এ আদেশ দেয়।
একই সঙ্গে আগামী বছর ৭ মে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
আইনজীবী পরে ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডাক্তারদের অনুপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই সব প্রতিবেদন সংযুক্ত করে দুই সপ্তাহ আগে মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্ট এ রিট আবেদনটি করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে নির্দেশনাসহ রুল জারি করে আদালত।
উল্লেখ্য, শুনানিতে সহায়তা করেন নিকলীর কৃতিমুখ অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল। এছাড়া মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্ট-এর হয়ে সারাদেশব্যাপী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ডাক্তারদের অনুপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও যাবতীয় কাজও করেছেন হাইকোর্টের আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
