আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
আফগানিস্তানে নারী প্রার্থীদের জন্য সাজসজ্জা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নারী প্রার্থীরা সাজসজ্জার ওপর খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। গত সপ্তাহে দেশটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনের আগে দেশটির একটি টেলিভিশনে এ বিষয়ে বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
ওই রিপোর্টের বিষয়বস্তু ছিলো নারী প্রার্থীরা। সেখানে নারী প্রার্থীদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা বা দক্ষতার চেয়ে প্রাধান্য পেয়েছিল সাজসজ্জা বা মেকআপ। ভিডিওতে দেখানো হচ্ছিলো নেইলপলিশ দেয়া আঙ্গুল, লিপস্টিক দেয়া ঠোঁট কিংবা কাজল দেয়া চোখ। নারী প্রার্থীকে ব্যাঙ্গ করে বলা হচ্ছিলো যে, এরা জনসেবার শ্লোগান দিচ্ছে।
রিপোর্টে বিভিন্ন নারী প্রার্থীর ছবি প্রকাশ করে সেখানে কে কেমন সাজসজ্জা করে ছবি তুলেছে কিংবা ভোট চেয়ে পোস্টার বানিয়েছে তা তুলে ধরা হয়।
আফগানিস্তানের হেরাত কাউন্সিলের সদস্য সাকিনা হুসেইন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা সেই জায়গা নয়, যেখানে একজন নারী মেকআপ নিয়ে আসতে পারেন। কারণ এগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারে। হেরাত কাউন্সিলের এই সদস্য ওই টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন মেকআপ দেয়া বা ফটোশপ করে চেহারা সুন্দর করার বিষয়টি ভোটারদের সাথে এক ধরনের প্রতারণা।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিলো নাহিদ ফরিদ নামের একজন নারী রাজনীতিকের ছবি।
তিনি বলেন, আমি একজন নারী এবং আমি বিশ্বাস করি আমাকেই আমার যোগ্যতা বা সক্ষমতা প্রমাণ করতে হবে। আর সেটি করতে হবে আমার অর্জন এবং আমার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই, মেকআপ দিয়ে নয়। এটি বড় কোনো ইস্যু হওয়া উচিত নয়। আসলে এটি নিতান্তই একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার যে কখনো কখনো আপনি নারী সাজতে চান।
সূত্র : যুগান্তর, ২৫ অক্টোবর ২০১৮