আজিজুল হক বিপুল, মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি ।।
বগুড়া জেলার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের সর্ববৃহৎ সবজির প্রসিদ্ধ হাট-বাজার হিসাবে খ্যাত মহাস্থানহাট। এ হাটে প্রতিদিনই উঠতে শুরু করেছে শীতের বিচিত্র আগাম সবজি। তুলনামূলক দাম ভালো পাওয়ায় চাষিদের চোখে-মুখে খুশির ছাপ যেনো দোলা দিচ্ছে। তবে সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারের দামের তফাৎ দ্বিগুণেরও বেশি।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় মহাস্থান হাটে সরেজমিনে গিয়ে সবজি বিক্রেতা চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক মাসে আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক বর্ষণে ক্ষেতের অনেক উঠতি ফসল তাদের ভাল হয়েছে। এছাড়া বগুড়ার কৃষকের পেঁপেতে লোকসানের পর এবার আগাম শীতের সবজি বিক্রি করে হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। এ মূল্য আরোও কিছুদিন থাকলে বিগত দিনের ক্ষতির বোঝা পুষিয়ে নিয়ে ভাল অবস্থানে যেতে পারবে বলে আশা করছেন এসব সবজি চাষিরা।
এদিকে সবজির পাইকারি বাজারের সাথে খুচরা বাজারের কোনো মিল নেই। ক্রেতাদের এমনটাই অভিযোগ, বাজার মনিটরিং না থাকায় বেশি দামে সবজি কিনতে বাধ্য হচ্ছে ভোক্তারা।
কৃষকের কাছ থেকে যে দামে সবজি কেনা হচ্ছে তার দ্বিগুণ দামে বড় মোকামগুলোতে বিক্রি হচ্ছে কেনো দূরের পাইকারদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, এবার সবজির উৎপাদন অনেক কম। চাহিদামত সরবরাহ করা যাচ্ছে না। অপরদিকে মহাসড়কে পণ্যবাহী পরিবহনে অতিরিক্ত চাঁদাবাজির ফলে তার প্রভাব পড়ে এসব পণ্যের ওপর। তাই দূরের বাজারে সবজি উচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়া জেলার সবজির পাইকারি বাজার মহাস্থান থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার রাজাবাজারে প্রতিকেজি ফুলকপি ৬০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে ১০ টাকা, সিম ১০০ টাকা এবং প্রতি পিস বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। (কদু) লাউ ৩০ টাকা পিস, কাঁচামরিচ ৪০ টাকায়।
তবে অধিক দামের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষেরা কিনতে পারছেন না শীতের আগাম সবজি। এবার জেলায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে।