আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৯২ মিনিট। ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে ভারত। এমন সময় যে ঘটনাটি ঘটল, তাতেই প্রাণ ফিরে পায় বাংলাদেশ। ভারতীয় ডিফেন্ডার নিজেদের ডি-বক্সে রাসেলকে বাজেভাবে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। দারুণ এক গোলে সমতা ফেরান আশিকুর রহমান।
পরে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ভারতকে ৪-২ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। গোলরক্ষক মেহেদী হাসান টাইব্রেকারে ভারতের প্রথম দু’টি শট ঠেকিয়ে দেন। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতায় ছিল। টুর্নামেন্টে এখনো অপরাজিত লাল-সবুজরা।
বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে মাঠে নামার আগে খাতা–কলমের হিসাবে কিছুটা এগিয়ে ছিল টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ১১ গোল করা বাংলাদেশই। নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সেমির খেলায়ও তার ছাপ ছিল। কিন্তু ম্যাচের ১৭ মিনিটের সময় মিডফিল্ডার পাত্রে হার্শ শৈলাসের আচমকা এক গোলে এগিয়ে যায় ভারত।
তবে নিজেদের গতি থামায়নি পারভেজের শিষ্যরা। যার ফল পায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯২ মিনিটের সময় ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি-বক্সের মধ্যে রাসেল আহমেদ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার সময় ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিক থেকে বল জালে জড়াতে একচুল ভুলও করেননি আশিক।
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে কোনো অতিরিক্ত সময়ের খেলা হয়নি। ফলে সরাসরি টাইব্রেকের পরীক্ষা। তাতে বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান ভারতের প্রথম দু’টি শট ঠেকিয়ে দেন। পরে আরও দু’টি শটে ভারত গোল করলেও টানা চার শটে বাংলাদেশ গোল করায় ম্যাচের ফল নির্ধারিত হয়ে যায়। বাংলাদেশকে এতে পঞ্চম শটটি নিতেই হয়নি।
মালদ্বীপকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিতে ওঠে লাল-সবুজরা। অন্যদিকে, পাকিস্তানের কাছে ২-১ গোলে হেরে শুরু করা ভারত দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটানকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে শেষ চারে উঠেছিল।
সূত্র : চ্যানেল আই অনলাইন, ১ নভেম্বর ২০১৮