ই-পাসপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী ডিসেম্বরে, সর্বসাধারণ মার্চে

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ‘নির্ধারিত সময়েই’ চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক ই-পাসপোর্ট (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট)। তবে ডিসেম্বরে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ আর বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা (সিআইপি) পাবেন ই-পাসপোর্ট।

চলতি বছরের জুলাইয়ে জার্মানির ভেরিডোস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদফতর। সে সময় ঘোষণা দেয়া হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই সবার হাতে পৌঁছাবে ই-পাসপোর্ট। তবে নির্ধারিত সময়ে সর্বসাধারণকে ই-পাসপোর্ট দেয়া অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তাই সরকারের মেয়াদ শেষের কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আনুষ্ঠানিকভাবে দিয়ে শুরু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম।

বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন খান বলেন, ‘ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ই-পাসপোর্ট দিতে কাজ করা হচ্ছে। তবে ডিসেম্বরে সবাইকে দেয়া সম্ভব হবে না। সবার আবেদন গ্রহণও করা হবে না। ডিসেম্বরে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীকে পাসপোর্ট দেয়ার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হবে। এ ছাড়া সিআইপিরা এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে যখন সব ধরনের কানেকটিভিটি ঠিক হবে, তখন সর্বসাধারণ আবেদন করতে পারবেন। আশা করছি ফেব্রুয়ারি-মার্চে সবাই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।’

১০ বছরের মেয়াদসহ ই-পাসপোর্টের ফি নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফি নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি মন্ত্রণালয়ের কাছে পাসপোর্টের তিনটি ক্যাটাগরির (অর্ডিনারি, এক্সপ্রেস ও সুপার এক্সপ্রেস) ফি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে ফি’র বিষয়ে বলা যাবে।

দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ই-পাসপোর্ট হবে ১০ বছর মেয়াদের। ফি নির্ধারণ কমিটির প্রস্তাবে সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ছয় হাজার (২১ দিন), এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য ১২ হাজার (সাত দিন) এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য ১৫ হাজার টাকা (এক দিন) প্রস্তাব করা হয়েছে।

ই-পাসপোর্ট একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট। এতে ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ থাকবে। এ মাইক্রোপ্রসেসর চিপে পাসপোর্টধারীর ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির তথ্য সংরক্ষণসহ মোট ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে। ই-পাসপোর্ট চালু হলে জালিয়াতি ও পরিচয় গোপন করা কঠিন হবে বলে জানাচ্ছে ইমিগ্রেশন অধিদফতর।

পাসপোর্ট অধিদফতর জানায়, শুরুতে ২০ লাখ ই-পাসপোর্ট জার্মানি থেকে প্রিন্ট করে সরবরাহ করা হবে। এরপর আরও দুই কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট দেশে প্রিন্ট করা হবে। সে জন্য উত্তরায় কারখানা স্থাপন করা হবে। পরবর্তীতে ওই কারখানা থেকেই পাসপোর্ট ছাপানো হবে।

এদিকে অনেকেই শঙ্কায় রয়েছেন, ই-পাসপোর্ট চালুর সঙ্গে সঙ্গে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) বাতিল হবে কি-না। এ বিষয়ে অধিদফতর জানায়, কারও পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে তাকে এমআরপির বদলে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে। তবে এমআরপিও গ্রহণযোগ্য হবে।

সূত্র : জাগো নিউজ, ১ নভেম্বর ২০১৮

Similar Posts

error: Content is protected !!