“বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া, চাকরির আগে ডোপ টেস্ট”

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

সরকারি চাকরিতে যোগদানের আগে ডোপ টেস্ট এবং বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রির আগে পাত্র-পাত্রীর রক্তে থ্যালাসেমিয়া ও মাদকের অস্তিত্বের বিষয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট দাখিল কেন বাধ্যতামূলক করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (৫ নভেম্বর ২০১৮) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মোঃ খাইরুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আজ আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। এর আগে গত ৫ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহিন আরা লাইলী হাইকোর্টে একটি রিট করেন। ওই রিট আবেদনে বলা হয়, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে একই রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির বিয়ে হলে অনাগত সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন।

অন্যদিকে পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমাদের দেশে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। আর এই মাদকাশক্তিই বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ।

তাই বিদ্যমান নিকাহনামার ৩ ও ৪ নম্বর দফায় পাত্র-পাত্রীর জন্ম সনদের পাশাপাশি ১৭ নম্বর দফায় ডাক্তারি সার্টিফিকেট (ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট) বাধ্যতামূলক হলে বিবাহিতদের সংসার ও তাদের অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষা পাবে।

এ রিটে সাপ্লিমেন্টারী এক আবেদনের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে যোগদানের আগে ডোপ টেস্টের বিষয়টি পরে যুক্ত করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়।

সূত্র : চ্যানেল আই অনলাইন, ৫ নভেম্বর ২০১৮

Similar Posts

error: Content is protected !!