“নির্বাচন পেছানো হবে কিনা সিদ্ধান্ত সোমবার”

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোর দাবির বিষয়টি এখনো আমি জানি না। এক্ষেত্রে ভোটের তারিখ পেছাবে কিনা আগামীকাল সোমবার (১২ নভেম্বর ২০১৮) তা জানা যাবে। নির্বাচন ভবনে রোববার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ তথ্য জানান।

ঐক্যফ্রন্ট একমাস নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে রোববার চিঠি দিয়েছে। এছাড়া যুক্তফ্রন্টও নির্বাচন পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ভোট করার জন্য দাবি জানিয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোটের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর।

সিইসি বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনো আসে নাই। আমি এখনো পাইনি’। নির্বাচন একমাস পেছানো সম্ভব কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন তো বলতে পারবো না। যেহেতু আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমাদের সঙ্গে এগুলো নিয়ে কথাই হয়নি।

সরকারি দলও নির্বাচন পেছানো যেতে পারে বলে জানিয়েছে, বিষয়টি সিইসির নজরে আনলে তিনি বলেন, এ খবরটিও আমরা পাইনি। বিএনপি বলছে নির্বাচনে আসবে, আপনিও চেয়েছেন সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, এখনো চাই। আমরা অবশ্যই চাই সব দল নির্বাচনে আসুক।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে কেএম নূরুল হুদা আরো বলেন, কখন কোথায় কি করা হবে, না হবে সেটি এখনি কিছুই বলতে পারবো না। কারণ কারো সঙ্গেই আমার এ বিষয়ে কথা হয়নি।

আগামীকাল জানা যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, হ্যাঁ, হ্যাঁ।

ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন পেছানোর দাবি
সিইসি গণমাধ্যমে কথা বলার আগে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন পেছানোর দাবি সংক্রান্ত চিঠি পৌঁছে দেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে- ‘সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি, ২০ দলীয় ঐক্যজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গণতন্ত্র উদ্ধারের অংশ হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতামতকে উপেক্ষা করে তড়িঘড়িপূর্বক নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী যে তফসিল ঘোষণা করেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, এতে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের পক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যা ইতিমধ্যে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।’

‘অতএব, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনী শিডিউল ১ মাস পিছিয়ে দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন পেছানোর দাবি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার কাছে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে নির্বাচন সাত দিন পেছানোর দাবি জানিয়েছে যুক্তফ্রন্ট।

চিঠিতে বলা হয়েছে- একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, স্বল্প সময়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দেওয়ার প্রয়োজনে আমরা মনে করি, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১৯ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৬ নভেম্বর করা হোক। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২২ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৬ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ২৯ নভেম্বরের পরিবর্তে ৫ ডিসেম্বর করা হোক। অনুরূপভাবে ভোটগ্রহণের তারিখ ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর করার প্রস্তাব করছি।

সূত্র : বাংলা নিউজ, ১১ নভেম্বর ২০১৮

Similar Posts

error: Content is protected !!