বিশেষ প্রতিনিধি (কিশোরগঞ্জ) ।।
কিশোরগঞ্জ জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ থেকে শতাধিক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে দুই দলের নেতারাই কেন্দ্রে যোগাযোগ রক্ষাসহ নানাভাবে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন দুই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সমর্থক নেতাকর্মীরাও। দুই দলের প্রার্থী কারা হচ্ছেন, এ আলোচনা চলছে সংসদীয় আসনগুলোর সাধারণ মানুষের মাঝেও।
কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা)
এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এই আসনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছাড়াও আরো ১০ নেতা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা হলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দুই সহোদর মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুক্তিযোদ্ধা ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, চাচাতো ভাই অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় উপ-কমিটির সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সহকারি কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শরীফ সাদী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি ডা. দীন মোহাম্মদ, কৃষকলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলশান আরা বেগম এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-পাঠাগার সম্পাদক অধ্যক্ষ এম এ হান্নান।
অন্যদিকে বিএনপি থেকেও অন্তত ১২ নেতা দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে। তারা হলেন, সাবেক এমপি মো. মাসুদ হিলালী, সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান চুন্নু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল হোসাইন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শরীফ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালীউলাহ রাব্বানী, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া, কিশোরগঞ্জ সদরের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি প্রয়াত মাওলানা আতাউর রহমান খানের ছেলে মাওলানা ওবায়দুর রহমান খান নদভী, হোসেনপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মবিন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ছোট ভাই মির্জা খোকন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আবদুস সালামের ছেলে আফজাল সালাম। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা)
আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে অন্তত এক ডজন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন, বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন, সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন আলী আকবর, আওয়ামী লীগ নেতা মঈনুজ্জামান অপু, কটিয়াদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক তারিকুল মোস্তাক রানা, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এম এ মান্নান, প্রয়াত সংসদ সদস্য পফেসর ডা. মো. আবদুল মান্নানের ছেলে অটিজম বিশেষজ্ঞ ডা. মাজহারুল মান্নান পার্থ এবং প্রয়াত কমান্ডার মোহাম্মদ বজলুর রহমানের ছেলে ড. জায়েদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ।
অন্যদিকে বিএনপি থেকেও এই আসনে অন্তত ৮ নেতা তাদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী ইদ্রিছ আলী ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন, কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আশফাক আহমেদ জুন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান কাকন, পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামাল উদ্দিন ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আবুল হোসেন মোশাহিদ। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ ও তাড়াইল উপজেলা)
আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু। এবারের নির্বাচনেও তিনি দলটির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। মো. মুজিবুল হক চুন্নু ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েও তাঁর সমর্থনে শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে নেয় আওয়ামী লীগ। তবে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড়তে নারাজ। দলীয় প্রার্থীর দাবিকে সামনে রেখে তারা নানা কর্মসূচিও পালন করেছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে অন্তত ১৯ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন, দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য ড. মিজানুল হক, করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সাবেক সদস্য সচিব বঙ্গমাতা পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মাহবুব ইকবাল, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি মো. এরশাদ উদ্দিন, আইটি ব্যবসায়ী শেখ কবির আহমেদ, করিমগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল কাইয়ুম, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. আনিছুর রহমান আনিছ, আওয়ামী লীগ নেতা এমরান আলী ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক মাখন, মেজর (অব.) ড. মোসলেহ উদ্দিন বাবুল, কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপকমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ হায়দার, ড. মুজিবুর রহমান আঙ্গুর, অধ্যক্ষ আম্মান খান, মাসুদ খান, খন্দকার মনিরুজ্জামান নয়ন প্রমুখ।
বিএনপি থেকে এ আসনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক নির্বাচন করবেন। এ বিষয়ে তাঁর মনোনয়ন চূড়ান্ত করে রেখেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। ওসমান ফারুকের পক্ষে দলের নেতারা মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। তবে এ আসনে বিএনপির আরো ৪ নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে রেখেছেন। তারা হলেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন, করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: রফিকুর রহমান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল মো. গাউস ও বিএনপি নেতা ডা. মো. সোহেল।
কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা)
বর্তমানে সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। এবারের নির্বাচনেও তিনি দলটির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ আসনে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
অন্যদিকে বিএনপি থেকে এই আসনে নির্বাচন করবেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান। তবে ফজলুর রহমান ছাড়াও এ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চারজন। তারা হলেন, বিএনপি নেতা ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ট্রাস্টি সুরঞ্জন ঘোষ, জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন, সৈয়দ মহিতুল ইসলাম অসীম ও সাবেক এমপি ফরহাদ আহমেদ কাঞ্চনের ছেলে ড্যাব নেতা ডা. ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী লাকী।
কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর ও নিকলী উপজেলা)
বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব মো. আফজাল হোসেন। এবারের নির্বাচনেও আলহাজ্ব মো. আফজাল হোসেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন। তবে এমপি আফজাল হোসেন ছাড়াও এই আসনে অন্তত ১৪ নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ একেএম নূরুন্নবী বাদল, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য শহীদুল্লাহ মুহাম্মদ শাহ্ নূর, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, কেন্দ্রিয় যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক সুব্রত পাল, নিকলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইসহাক ভূঁইয়া, নিকলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কারার সাইফুল ইসলাম, জেলা কৃষকলীগ সহ-সভাপতি ফারুক আহম্মেদ, কেন্দ্রিয় যুবলীগের সাবেক সদস্য ব্যারিস্টার মো. রফিকুল ইসলাম মিল্টন, নিকলী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বোরহান, বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মআহ্বায়ক মো. শাহজাহান মিয়া, যুগ্মআহ্বায়ক মোবারক হোসেন মাস্টার এবং জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম রতন।
অন্যদিকে বিএনপি থেকেও এই আসনে অন্তত ১০ নেতা তাদের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন, বাজিতপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র এহেসান কুফিয়া, বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সালেহুজ্জামান খান রুনু, নিকলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠু, নিকলী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শফিকুল আলম রাজন, বিএনপি নেতা বদরুল আলম শিপু, কেন্দ্রিয় ছাত্রদল নেতা ইশতিয়াক আহমেদ নাসির, নিকলী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী মাসুক মিয়া, দুইবারের প্রয়াত সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান মঞ্জুর ছেলে মাহমুদুর রহমান উজ্জ্বল ও নিকলী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাইদ। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলা)
আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের ছেলে ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এবারের নির্বাচনেও তিনি দলটির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ আসনে নাজমুল হাসান পাপন এমপি ছাড়াও ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইফতেখার হোসেন বেনু দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
অন্যদিকে এ আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করবেন বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচন এবং ২০০৯ সালের ৩ এপ্রিলের উপ-নির্বাচনে দলের প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি আলম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শরীফুল আলম। এ আসনে শরীফুল আলম ছাড়াও ভৈরব উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।