আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে লড়াই করা বীরপ্রতীক তারামন বিবি মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। বেশ কিছুদিন ধরে শ্বাস কষ্ট ও ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন তিনি।
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর ২০১৮) দিবাগত রাত ১টার দিকে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কাচারী পাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা যান তারামন বিবি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
বাকশক্তি হারিয়ে গত নভেম্বরেও গুরুতর অসুস্থ তারামন বিবি ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসার পর তিনি অনেকটা সুস্থ হন। কথাও বলা শুরু করেন।
এর তিন মাস আগে গত আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তারামন বিবিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর সিএমএইচ থেকে ঢাকা সিএমএইচে আনা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর শোক
তারামন বিবি বীর প্রতীকের মৃত্যুতে শোক ও গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন তারামন বিবি। সেসময় মুক্তিবাহিনীর রান্নাবান্না, তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, পাকবাহিনীদের খবরাখবর সংগ্রহের কাজও করেছেন তিনি।
তারামন বিবি সম্মুখযুদ্ধে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বীর প্রতীক খেতাব অর্জন করেন।
১৯৭৩ সালে তারামন বিবির সাহসীকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য “বীর প্রতীক” উপাধিতে ভূষিত করেন। তবে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তাকে কেউ খুঁজে বের করতে পারেনি।
যুদ্ধের প্রায় দুই যুগ পর ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক বিমল কান্তি দে তার সন্ধান পান। তথ্য দিয়ে তাকে সহায়তা করেন কুড়িগ্রামের রাজীবপুর কলেজের অধ্যাপক আবদুস সবুর ফারুকী।
১৯৯৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর তৎকালীন বিএনপি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তারামন বিবিকে বীরত্বের পুরস্কার তার হাতে তুলে দেন।
সূত্র : চ্যানেল আই অনলাইন, ১ ডিসেম্বর ২০১৮