মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
ঢাকার টঙ্গী ইজতেমার মাঠে কর্মরত তাবলীগের সাথী ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ওপর মাওলানা সা’দ-এর অনুসারীদের হামলায় নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনায় সারা দেশের মতো হাটহাজারীতে ওলামা মাশায়েক ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩ ডিসেম্বর ২০১৮) বিকাল সাড়ে ৪টায় পৌর এলাকার ডাক-বাংলো চত্বর থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি জসিম উদ্দিন, মুফতি শিহাবুদ্দিন, হেফাজতের পৌর শাখার সভাপতি মাওলানা মীর ইদরিস, মাওলানা হাবিবুল্লাহ নদভী, মাওলানা কাজী শফিউল্লাহ, মাওলানা মাহামুদ হোসাইন, মাওলানা জাহাঙ্গীর মেহেদী, মাওলানা এমরান সিকদার ও মাওলানা কামরুল কাসেমী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেশের ইতিহাসে আর ঘটেনি। এটি সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবে দাওয়াতের কাজকে স্তব্ধ করা এবং মুসলমানদের মাঝে বিভেদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য এ হামলা চালানো হয়েছে। সম্মিলিত ওলামায়ে কেরাম মাওলানা সা’দের অনুসরণ বৈধ নয় বলে ফতোয়া দেয়ার পরও কুরআন-সুন্নাহর মনগড়া অপব্যাখ্যাকারী, আম্বিয়া ও সাহাবাদের শানে কটুক্তিকারী, নেজামুদ্দিনের স্বঘোষিত আমির মাওলানা সা’দের অনুসারীরা হামলা চালিয়েছে। তারা যে ষড়যন্ত্রকারী ইতিমধ্যে বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং টঙ্গী মাঠে আগের মতো শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং জোড় ও বিশ্ব ইজতেমা পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ মিছিলটি হাটহাজারী পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ডাক বাংলো চত্বরে এসে শেষ হয়। এদিকে সোমবার বেলা ১২টায় হাটহাজারী ওলামা পরিষদ ও হাটহাজারীর ওলামা-কেরামরা ঢাকার এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।