আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
মেডিক্যাল সায়েন্সে নয়া নজির তৈরি করলেন ভারতের গুজরাতের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ তেজাস পটেল। রোগীর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে বসে কম্পিউটারের মাধ্যমে রোবট চালিয়ে করলেন সফল হার্ট অপারেশন। সারা পৃথিবীর ডাক্তারি শাস্ত্রের ইতিহাসে এই ঘটনা অভূতপূর্ব।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর ২০১৮) আহমদাবাদের অ্যাপেক্স হার্ট ইনস্টিটিউটে ছিলেন রোগী। মধ্যবয়স্কা এই মহিলার ধমনীতে ৯০ শতাংশ ব্লক থাকার কারণে রক্ত চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। আর চিকিৎসক তেজাস পটেল সেই অপারেশন করলেন হাসপাতাল থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে গাঁধীনগরের অক্ষরধাম মন্দির থেকে। কম্পিউটারের সাহায্যে রোবট চালিয়েই এই অপারেশন করলেন তিনি। একই সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে গেলেন সারা পৃথিবীর মেডিক্যাল সায়েন্সকে। কারণ, এই ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম।
ডাক্তারি পরিভাষায় এই ঘটনাকে বলা হচ্ছে টেলি রোবটিক সার্জারি। অত্যাধুনিক রোবটিকসের মাধ্যমেই এই অসাধ্য সাধন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সারা পৃথিবীতে এই প্রথম অপারেশন থিয়েটারের বাইরে থেকে রোগীর সফল অস্ত্রোপচার করলেন কোনও চিকিৎসক।
তেজাস পটেলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামে অত্যাধুনিক চিকিৎসার সুযোগ পৌঁছে দেয়া সম্ভব কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমার কাছে ২০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল। এই যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে রোগীকে না সরিয়ে সফলভাবে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব। এর ফলে গ্রামীণ স্বাস্থ্যব্যবস্থার হাল হকিকত বদলে যেতে পারে।”
কিন্তু অক্ষরধাম মন্দির থেকে কেন অপারেশন? এই প্রশ্নের উত্তরে ডক্টর পটেল জানিয়েছেন, “আমি এই মন্দির বেছে নিয়েছি, কারণ অক্ষরধাম আমার কাছে আধ্যাত্মিকতা এবং প্রযুক্তির যৌথ প্রতীক। আমার একজন মানুষ হয়ে ওঠার পিছনে এই মন্দিরের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।”
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮