সোহেল আক্তার মিঠু, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি ।।
সোমবার রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ভাইয়ের পুকুর বাজার এলাকায় মহাজোট মনোনীত প্রার্থী জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ’র মটরসাইকেল বহরে ককটেল হামলার ঘটনায় বিএনপির ৩৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা যুব সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক সানাউল হক বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম, সাবেক সভাপতি এবিএম কামাল সেলিম, বিহার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ হাসান আরমানসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
হামলার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ভাইয়েরপুকুর বন্দরে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। ওই রাতেই উপজেলার কয়েকটি স্থানে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। উপজেলা সদরের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় নাগর বন্দর ও মোকামতলা কার্যালয়ে অজ্ঞাতরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
এদিকে ককটেল বিস্ফোরণের সময় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন। মহাজোট প্রার্থী সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ জানান, রাতে ভাইয়েরপুকুর এলাকায় গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে তার মটরসাইকেল বহরে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল প্রায় ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলাকারীদের হাতে লাঠি ও হাসুয়া ছিল। এতে তার ব্যবহৃত গাড়ির পিছনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ঘটনার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং মামলা নেয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মীর শাহে আলম জানান, নির্বাচন থেকে তাদেরকে দূরে রাখার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে তাদের ওপর মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতেই প্রতিপক্ষরা শিবগঞ্জ ও মোকামতলায় নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছে বলে তিনি দাবি করেছেন।