ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি ।।
নওগাঁর ধামইরহাটে ছেলে-মেয়ে থাকা সত্ত্বেও মানবেতর ও অসহায় জীবন যাপন করছেন এক বৃদ্ধা মা। একমাত্র ছেলে ও উপযুক্ত মেয়ে তারা নিজ নিজ স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঘরে রাত্রি যাপন করলেও অসহায় মা’র রাত কাটে গরুর গোয়ালের পাশে। তাকে থাকতে দেয়া হয়েছে গোয়ালের পাশের বারান্দায়। গভীর রাতে একা একাই শীতের রাত্রিতে সকাল কখন হয় বৃদ্ধা তা জানতেই পারে না। ঘটনাটি ধামইরহাট পৌরসভার মঙ্গলকোঠা গ্রামের।
অসহায় ওই বৃদ্ধা মঙ্গলকোঠা গ্রামের মৃত মদ্দিন মণ্ডলের স্ত্রী জোবেদা বেওয়া (৮০)। তিনি জানান, আমার একমাত্র ছেলে তার বউ নিয়ে এক ঘরে থাকে। নাতী তার স্ত্রীকে নিয়ে অপর একটি ঘরে থাকে। আমার জায়গা আল্লাহ গরুর গোয়ালের পাশেই রেখেছে বাবা।
এমন ঘটনা ২১ ডিসেম্বর রাতে সংবাদকর্মী এন এফ অরিন্দম মাহমুদ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানালে তাৎক্ষণিক মঙ্গলকোঠা গ্রামে একদল সাংবাদিক বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে কিছুটা খোলা বারান্দায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের অনুরোধে উপস্থিত মানবসেবা সংগঠনের সভাপতি রাসেল মাহমুদ একটি কম্বল বৃদ্ধার গায়ে জড়িয়ে দেন এবং নতুন জুতা-মোজার আবদার করলে ওই বৃদ্ধাকে জুতা-মোজা ও জামা-কাপড় কিনে দেয়া হবে বলে জানান।
বৃদ্ধার অভিযোগ, সমাজসেবা দপ্তর হতে প্রাপ্ত বয়স্কভাতার টাকা ছেলের বউ খরচ করে। তার কোনো যত্ন নেয় না। এতসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নাতী ও ছেলের বউ ইনুয়ারা বলেন, আমার শাশুড়ি জেদি ও রাগি। প্রবাদ আছে বৃদ্ধ বয়সের মন-নাবালক শিশুর মতন। কিন্তু সন্তান জন্ম দিয়ে লালন-পালন করে শেষ বয়সে এমন করুণ অবস্থায় কোনো পিতা-মাতারই কাম্য নয়।