আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের ছয় সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে ৭০ রাউন্ড রাবার গুলি ছুড়েছে পুলিশ। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর ২০১৮) বিকালে কুলিয়ারচর বাজার এলাকায় থানা রোডে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতদের কয়েকজন হলেন- তপু হোসেন, ফেরদৌস, রুবেল, ইব্রাহিম ও কাশেম। তাদেরকে বাজিতপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কুলিয়ারচর থানার একজন উপপরিদর্শক, একজন সহকারী উপপরিদর্শক ও চারজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তাদের নাম জানা যায়নি।
ঘটনার সময় পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। এরা হলেন- নাজির (২৪), কাজল (২৬), সাগর (১৮), কালাম (৪০), শামীম (১৯) ও আবদুল্লাহ গালিব (২০)।
জানা গেছে, সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলম তার দলের প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মী নিয়ে পৌরসভা রোড থেকে একটি মিছিলসহ বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে থানার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে বলে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ।
এ সময় শরীফুল আলম এসময় পুলিশকে বলেন, তিনি নির্বাচনী গণসংযোগে বের হয়েছেন। পুলিশ তার কথা না মেনে মিছিল নিয়ে কুলিয়ারচর বাজারে প্রবেশ করতে নিষেধ করে। এ নিয়ে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে লাঠিসোটা নিয়ে হামলে পড়ে। অবস্হা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৭০ রাউন্ড রাবার গুলি ছুড়ে।
পরে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে নেতা কর্মীরা পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলম বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে আমি বিএনপির প্রার্থী হয়ে প্রচারণা চালাতে পারছি না। বিকালে একটি জানাজা শেষে কিছু নেতাকর্মী নিয়ে গণসংযোগ করতে বাজারে ঢুকার সময় পুলিশ আক্রমণ শুরু করে। আমরা বাধা দিলে পুলিশ গুলি ছুঁড়ে ১০ জনকে আহত করে এবং ৬ জন বিএনপির কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নান্নু মোল্লা জানান, শরীফুল আলম নিজে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে মিছিল করছিলেন। পরে তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ শুরু করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৭০ রাউন্ড গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় বলে তিনি জানান।
সূত্র : ঢাকা টাইমস, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮