মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মহতের বাড়ির আনিস মেম্বারের বাড়িতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১ পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক সাড়ে ১৭ লাখ টাকা হবে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছে। রান্নঘরের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মনজুরুল আলমের রান্নাঘরের চুলা থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তের মধ্যে দক্ষিণদিকে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস লিডার মোঃ আবুল কালাম-এর নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে আসার আগে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ভস্মিভূত হয় ১১টি বসতঘর।
এতে ১১ পরিবারের টিননেড ঘর ভষ্মীভূত হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন মনজুরুল আলম, নাজিম উদ্দীন পিং-ফয়েজ আহম্মদ, জাহানারা বেগম-স্বামী জালাল আহম্মদ, জামাল উদ্দীন- পিং জালাল আহম্মদ, মোঃ রিদুয়ান পিতা ঐ, মোঃ দিদারুল আলম- পিং মৃত নুর মিয়া, মোছাম্মত শিরু আকতার- পিং ঐ, মোঃ ইছমাইল- পিং মৃত ফুল মিয়া, মোঃ আইয়ুব- পিং মোঃ ইসমাইল, জিনু আকতার- স্বামী রহমত উল্লাহ, রিজিয়া বেগম- পিং জালাল আহম্মদ।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১১ পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
এ ঘটনায় মতিনের ১১ পরিবারের নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মূল্যবান কাগজপত্র, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিসহ মূল্যবান জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এদিকে, অগ্নিদুর্গতদের উপজেলা প্রাশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহল আমিন বিকালে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা, শুকনো খাবার, শীতবস্ত্র দেয়া হবে বলে এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ।