ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি ।।
নওগাঁর ধামইরহাটে আলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষককুল খুশি। গ্রাম থেকে উৎপাদিত এসব আলু মেটাচ্ছে শহরের চাহিদা। উপজেলার চকবদন গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে আলুচাষী ওবায়দুল হক জানান, তার প্রতি একরে আলু চাষাবাদ করতে খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ হাজার টাকা। একরপ্রতি আলু পেয়েছেন ১২০ মণের অধিক; যা বিক্রি করেছেন লক্ষাধিক টাকায়। স্বল্পমুল্যে সার-সেচ সুবিধা ও কৃষি অফিসের সঠিক পরামর্শ পাওয়ায় এমন ফলন পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমি আলু চাষ করে জমির আলু চানকুড়ি গ্রামের দেলোয়ারের ছেলে আলু ব্যবসায়ী হেলাল হোসেনকে দিয়েছি। তিনি নিজস্ব শ্রমিক দিয়ে আলু মাঠ থেকে নিয়ে ঢাকায় পাঠান।
আলু ব্যবসায়ী হেলাল হোসেন জানান, পাইকারী দরে কেনা এসব আলু বগুড়া, রাজশাহী ও ঢাকায় পাঠিয়ে আমিও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছি। তবে প্রথমে চড়া চামে বাজার থাকলেও বর্তমানে একটু দাম কম হওয়ায় সময় সময় কিছুটা লোকসান গুনতে হয়।
মাঠে সামান্য কিছু অর্থ দিয়ে নারী শ্রমিক নিয়োগ করে তাদের মাধ্যমে সুচারুভাবে আলু সংগ্রহের দৃশ্য ছিল দেখার মতো। এ সময় নারী শ্রমিকরা অভিযোগ করেন মাত্র ১২০ টাকা মজুরী দিয়ে দিনভর আমরা এসব কাজ করে থাকি। যদিও একজন পুরুষ শ্রমিকের বাজারমূল্য ৩শ’ থেকে ৩৫০ টাকা।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষি মো. সেলিম রেজা বলেন, কৃষকরা ইরি-আমন ধানের পাশাপাশি সাথী ফসল বার বাড়তি ফসল হিসেবে আলুচাষ একটি লাভজনক। অনেক কৃষক ধানের পাশাপাশি আলু চাষ করে তাদের জীবন মান উন্নীত করতে পেরেছেন। আর এসব কাজে কৃষি অফিস অংশিদারীত্বের ভিত্তিতে কৃষকদের উন্নয়নে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।