নিজস্ব সংবাদদাতা ।।
কিশোরগঞ্জের সাত পৌরসভার ছয়টিতে আওয়ামী লীগ ও একটিতে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ সদর পৌরসভায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো: পারভেজ মিয়া (মাহমুদ পারভেজ)। তিনি ২২ হাজার ৯৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন বিএনপির মো: মাজহারুল ইসলাম। তার প্রাপ্ত ভোট ১৭ হাজার ৯৬২। সদরে মোট ভোটার ৬১ হাজার ৩১০ জন। কেন্দ্র ২৬টি।
হোসেনপুর পৌরসভায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাইয়ুম খোকন। তার প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার ৮৭২। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ হোসেন হাছু জগ প্রতীক নিয়ে পান ৪ হাজার ৭২৭ ভোট। এখানে মোট ভোটার ১৬ হাজার ২৫০ জন। কেন্দ্র নয়টি।
করিমগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো: আবদুল কাইয়ুম জগ প্রতীকে ১০ হাজার ১৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো: কামরুল ইসলাম চৌধুরী মামুন। তার প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার ৭৬৫। এখানে বিএনপির প্রার্থী তৃতীয় হয়।করিমগঞ্জে মোট ভোটার হলো ২০ হাজার ২২২ জন। কেন্দ্র নয়টি।
বাজিতপুর পৌরসভায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো: আনোয়ার হোসেন আশরাফ। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রার্থী এহসান কুফিয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ১৭৭ ভোট। এখানে মোট ভোটার ২১ হাজার ৩০ জন। কেন্দ্র ১২টি।
কুলিয়ারচর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসান কাজল ১২ হাজার ৩৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি প্রার্থী হাজী সাফিউদ্দিন পান ৭ হাজার ৫৮৫ ভোট। এখানে মোট ভোটার ২১ হাজার ৪১৪জন। কেন্দ্র ১০টি।
কটিয়াদী পৌরসভায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শওকত ওসমান শুক্কুর আলী। তিনি ১২ হাজার ৯১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ ৭ হাজার ৩৫৫ ভোট পান। এখানে মোট ভোটার ২৫ হাজার ৯৫৭জন। কেন্দ্র ১১টি।
ভৈরব পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী পান ১৯ হাজার ৯৫৩ ভোট। এখানে বিএনপির প্রার্থী হাজী মো: শাহীন ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন বর্জন করেছিলেন।