মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজরী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় তৈরিকৃত ইটের পরিমাপ নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন উঠেছে। ভাটাসমূহে বিএসটিআই-এর নির্ধারিত ও পরিমাপ অনুসারে ইট প্রস্তুত না হওয়ার কথা জনমুখে প্রচার রয়েছে। ইটের প্রমাণ সাইজ না হওয়াতে সরকারি ও ব্যক্তি উন্নয়ন এবং নির্মাণ কাজগুলো থমকে দাঁড়িয়েছে। ঠিকাদাররা কাজের মান বাড়াতে পারছে না কিছুতেই। ইটের সাইজ ছোট হওয়াতে নির্মাণ কাজের অতিরিক্ত লোকসান দিয়ে ইট ক্রয় করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
জানা যায়, হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বৈধ অবৈধ মিলে অন্তত ২০/৩০টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটায় দৈনিক কয়েক লাখ ইট মাটি দিয়ে তৈরি করে পোড়ানো হচ্ছে। এই ইটভাটাগুলো থেকে তৈরিকৃত ইটগুলোর মান সাইজ সঠিক পরিমাপ নিম্নমুখী ও মানসম্মত না হওয়ায় ক্রেতারা ইট ক্রয় করে ঠকছেন।
আবার ইটগুলো সরকারি নির্ধারিত পরিমাপ থেকে একেবারে ছোট হওয়াতে সরকারি বেসরকারি নির্মাণ কাজের হিসাব মিলাতে পারছে না ঠিকাদার ও ব্যক্তি মালিকরা। সরকারি বেসরকারি কাজের জন্য ব্যবহৃত কাজ করতে যেখানে টাকা বরাদ্দ মতে ১৫ হাজার ইটের প্রয়োজন হয় সেখানে ইটের পরিমাপ দরকার হয় অন্তত আরো ১ হাজার অতিরিক্ত।
ইটের সাইজ ছোট হওয়াতে অতিরিক্ত ইট ক্রয় করতে হচ্ছে ঠিকাদারসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ মালিকদের। সরকারি বরাদ্দের যে পনিমাণ অর্থ দিয়ে থাকে সেই পরিমাণ অর্থ দিয়ে ইট ক্রয় করতে হিমশিম খেতে হয় ঠিকাদার ও নির্মাণ মালিকদের।
হাটহাজারী উপজেলার এক প্রকৌশলীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়ম মতে কোন ইটভাটায় ইট তৈরি করছে না সাধারণ ইটের পরিমাপ হয়ে থাকে চওড়া সাড়ে ৪ ইঞ্চি প্রস্ত সাড়ে ৯ ইঞ্চি ও বিকনেচ পৌনে ৩ ইঞ্চি কিন্তু এসব পরিমাপে ইট তৈরি করার কথা থাকলেও সঠিক পরিমাপে তৈরি হচ্ছে না। অসাধু অর্থলোভী ইটভাটার মালিকরা ইটের ভাটাতে বেশি পরিমাণ ইট পোড়ানো মজুরি খরচ থেকে রক্ষা পেতে সঠিক পরিমাপে ইট তৈরি না করে ইটের সাইজ ছোট করে ফেলেছে; এতে ভীষণভাবে ঠকছে ক্রেতারা।
ইটের সাইজ ছোট ও মানসম্মত না হওয়ায় সরকারি বেসরকারি নির্মাণ উন্নয়ন কাজগুলো টেকসই হচ্ছে না। এমনকি এসব ইটগুলোর কারণে বহুতল ভবন মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করেন নির্মাণ কাজের মালিকরা। এসবের ব্যাপারে স্থানীয় প্রসাশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ঠিকাদার ও স্থাপনা নির্মাণের মালিকরা।