মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ না কাটতেই নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ায় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে আনন্দ দেখা দিয়েছে। এ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন স্থানে আলোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। দলীয় প্রতীক পাওয়ার জন্য আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের দুয়ারে ধর্ণা দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন নেতা নিজেদের প্রার্থিতা জানান দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে ঢাকায় দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। তফসিল ঘোষণার পর হয়তো কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে তারা প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বলে জানা যায়।
এবার হাটহাজারীতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ যাবত আশানুরূপ তেমন নাম শোনা না গেলেও চেয়ারম্যান হিসাবে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।
আওয়মাী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সরকার গঠন করেছে; সেহেতু বড় দল ও সরকারি দল হিসাবে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া কঠিন হবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন। কারণ যাদের প্রার্থী হিসাবে নাম শোনা যাচ্ছে প্রত্যেকে দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ নেতা।
আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, উত্তর আওয়মী লীগ নেতা যথাক্রমে ইউনুছ গণি চৌধুরী, জসিম উদ্দিন শাহ, মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা জাফর আহমেদ চৌধুরী, উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলম, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ ও নাজিরহাট যাত্রীকল্যাণ পরিষদের নেতা এডভোকেট ফয়জুল ইসলাম, ধলই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল মনসুর, মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার।
এই সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে ইতিমধ্যে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক, মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শারমিন ইকবাল রেজভীর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে আরো অনেকে হয়তো প্রার্থী হতে পারেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক চাকসু ভিপি ও বিজিএমই-এর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এস এম ফজলুল হক জানান, দলের প্রার্থী কে হবে এখনো বলা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে উপজেলা নির্বাচনে কাকে প্রার্থী দেয়া হবে সেটা নির্ধারণ করা হবে।