মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
হাটহাজারীতে ২য় দিনে ফের নকল বাজারজাতকরণের ভেজাল ঘি তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) দুপুরে এ অভিযান শুরু করে উপজেলাস্থ ১১ মাইল নাজিরপাড়া কবির চেয়ারম্যানের ভাড়া বাসায়। প্রায় দেড় ঘণ্টার অভিযানে তিনি নেতৃত্ব দেন। এসময় তার সাথে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সম্রাট খীসা, থানার পুলিশের ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
এ অভিযানে ভেজাল নিম্ন ক্ষতিকারক তৈরির কারখানা থেকে ৫ হাজার কৌটায় ১২শত লিটার ভেজাল ঘি ও ৭০ লিটার পামঅয়েলসহ ক্ষতিকারক রং ও ঘি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করেছে ইউএনও। তবে এসময় ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করেতে পারেনি। বিষয়টি টের পেয়ে অজ্ঞাত স্থানে সরে গেছে বলে সম্ভব হয়নি।
জানা যায়, মাহে রমজানকে সামনে রেখে হাটহাজারীতে একটি সিন্ডিকেট চক্র বিভিন্ন নামি-দামি কোম্পানির লোগো স্টিকার সীল অত্যাধুনিক মেশিনে টিনের কৌটাজাত করে হাটহাজারীসহ বিভিন্ন উপজেলায় বাজারজাত করবে। তারা এখনো হাটহাজারীসহ বিভিন্ন উপজেলায় ভেজাল ঘি তৈরি করে বাজারজাত করছে। ঘি তৈরির যে উপাদানগুলো প্রয়োজন তার কোনটিই নেই এসব ঘি-গুলোতে। কিন্তু চক্রটি “খাঁটি গাওয়া ঘি”সহ বিভিন্ন কোম্পানির নামে ঘিয়ের ফ্লেভার মিশিয়ে ভেজাল ঘি বাজারে ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ এই চক্রটির কারণে ভালো কোনো ঘি বাজারে নেই। ক্রেতারা কোনটা ভাল ঘি, কোনটা ভেজাল ঘি চেনার কোনো উপায় নেই। যে ঘি খেয়ে মানবদেহে ক্ষতি সাধিত হবে বলে অনেকে মনে করেন।
নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে বাঘাবাড়ি স্পেশাল খাঁটি গাওয়া ঘি, গোল্ডেন এসপি, গোল্ডেন পিএস, গোল্ডেন স্পেশাল, আরএস রাজেশ ঘোষ সুপারসহ অন্তত ১০টি ব্রান্ডের ঘি কারখানায় তৈরি করে বাজারজাত করছিলো একটি চক্র।
তিনি বলেন, অভিযানে ভেজাল ঘি তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত লাল সার, ডালডা, পামওয়েল, ফ্লেভার, ক্ষতিকর রংসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দের পাশাপাশি ১২শত লিটার ভেজাল ঘি নষ্ট করা হয়।
ভেজালবিরোধী অভিযান জোরালোভাবে অব্যাহত থাকবে। সরকারের নির্দেশানুযায়ী উপজেলায় ভেজালবিরোধী অভিযান আরো জোরদার করা হবে। তিনি ভেজালবিরোধী অভিযানে হাটহাজারীর জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাটহাজারীতে অভিযান পরিচালনা করে ১৫শত লিটার ভেজাল ঘি ধ্বংস করেন ইউএনও।