আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সম্প্রতি প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সারাদেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। বেকারদের মধ্যে ১০ লাখ ৪৩ হাজার শিক্ষিত তরুণ-তরুণী অর্থাৎ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ। যারা উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী। জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, বর্তমান সরকার বেকার যুব সমাজকে বেকারত্ব থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে কর্মসংস্থান ও অন্যান্য সুবিধার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে গত ১০ বছরে নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে মন্নুজান সুফিয়ান জানান, বর্তমান সরকার দেশের মেহনতি শ্রমিকদের কল্যাণে সঠিক মজুরি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। সরকারি-বেসরকারি খাতে কর্মরত শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি প্রতি ৫ বছর অন্তর সংশ্লিষ্ট সেক্টরের পক্ষসমূহের চাহিদা অনুযায়ী গঠনপূর্বক নিম্নতম মজুরির হার পুনঃনির্ধারণ করে থাকে।
তিনি আরো জানান, ২০০৯ সাল হতে এ পর্যন্ত সরকার মোট ৪৩টি শিল্প সেক্টরের মধ্যে ৪০টি সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি পুনঃনির্ধারণ করেছে। বেসরকারি শিল্প সেক্টরের মজুরি নির্ধারণ বা পুনঃনির্ধারণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। আগামীতে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের প্রতিনিধিবৃন্দের আবেদনের প্রেক্ষিতে বেসরকারি খাতে আরো সাতটি নতুন শিল্প সেক্টরের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরে ২০১০ সালে ঘোষিত ন্যুনতম মজুরি এক হাজার ৬৬২ টাকা হতে ৮২ ভাগ বৃদ্ধি করে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। পুনরায় ২০১৩ সালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ৩ হাজার টাকা হতে ৭৭ ভাগ বৃদ্ধি করে ৫ হাজার ৩০০ টাকা পুননির্ধারণ করা হয়। এছাড়া শতভাগ গার্মেন্টস সেক্টরের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ হতে বৃদ্ধি করে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্র : কালের কণ্ঠ