সুস্বাস্থ্য ও ঝকঝকে দাঁত পেতে কত কিছুই না করি আমরা। কিন্তু মাত্র একটি উপাদানই এ জন্য যথেষ্ট। এটা হয়তো আপনার হাতের কাছে সব সময়ই থাকে। কিন্তু সেটার গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা তেমন কিছু জানি না।
হয়তো কোনো দিনই কল্পনা করেননি সহজলভ্য অপরিশোধিত ও ভোজ্য নারকেল তৈলের গুণের কথা। আজ সেটাই আপনাদেরকে জানাব।
খাওয়ার যোগ্য না হওয়ায় আপনি নারকেল তৈলের স্বাদ নিতেও হয়তো অপছন্দ করেন। তবে কষ্ট করে আপনি মুখের মধ্যে মাত্র দুই টেবিল চামচ তৈল নিন এবং পাঁচ মিনিট ধরে দাঁতের সঙ্গে ঘষা দিন। মুখ ধোয়ার সময় একই কাজ করুন। এরপর মুখ থেকে বাইরে ফেলিয়ে দিন। এটাতে আপনার খানিকটা অস্বস্তি বোধ হতে পারে। কিন্তু এটা বেশ কাজের। কঠিন কঠিন সব দন্ত রোগ সারাবে এ তৈল থেরাপি।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কয়েক শতক ধরে এ কৌশল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভারতে বেশ জনপ্রিয় এটি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় আপনার মুখে দুর্গন্ধ দূর, মাড়িতে জ্বালা রোধ এবং চর্মরোগ, ব্রণ ও অন্যান্য রোগ নিরাময়ে এ পদ্ধতি বেশ সাহায্য করতে পারে। দাঁতের রোগ ও মাড়িতে পাথর দূর করতে নারকেলের তৈলের গুণ দারুণ। এ তৈল আপনার মুখ ও দেহের অন্য স্থান থেকে ব্যাকটেরিয়া ঝেটিয়ে তাড়ায়।
সাধারণত তৈল, মধু ও অন্যান্য উপাদান ঘা শুকানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। যদিও এ তত্ত্বের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা আছে, মুখের গহ্বর থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে তৈল।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারকেল তৈল ব্যাকটেরিয়া, ব্যাকটেরিয়ার স্তুপ জমা হয়ে দাঁতে কালো পড়া ও পাথর তুলতে বেশ কার্যকরী।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ফ্লোসিং (দুই দাঁতের মাঝখানের ময়লা পরিষ্কার) মুখের গহ্বর থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। নারকেলের তৈলও একই কাজ করে এ ব্যাপারে। নির্মল নিঃশ্বাস নিতে এবং দাঁতের রোগ সারাতে আপনি বাড়িতে বসেই এ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন।
মনে করে প্রতিদিন ২০ মিনিট দাঁতে তেল দিয়ে ঘষা দেওয়ার সুপারিশ করেছেন দন্ত বিশেষজ্ঞরা। তাই সুস্থ, ঝকঝকে দাঁত পেতে আপনি নিয়মিত ফ্লোস ও ব্রাশ করুন। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত তৈল ব্যবহার করুন।