বিশেষ প্রতিনিধি ।।
শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে গাড়ি চালকদের সচেতন করতে চার বছর ধরে নিজের উদ্যোগে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন মমিনুর রহমান রয়েল। যত্রতত্র হর্ন বাজানো থেকে বিরত রাখতে “হর্ন হুদাই বাজায় ভুদাই” লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।
এরই মধ্যে তার “হর্ন হুদাই বাজায় ভুদাই” স্লোগানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। রয়েলের মতে, ঢাকার রাস্তায় ৮০ ডেসিবেলের বেশি মাত্রায় হর্ন বাজানো হয়, যা কানের জন্য ক্ষতিকর।
মমিনুরের ব্যানার পড়ে চালকরা অনেকাংশেই বন্ধ করছেন অযথা হর্ন বাজানো। সময়ের সাথে সাথে নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত হচ্ছেন তার এই মহতী উদ্যোগে।
অযথা যত্রতত্র হর্ন বাজানোকে নিরুৎসাহিত করে লেখা স্লোগান সংবলিত টি-শার্ট গায়ে আজ মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের ব্যস্ততম রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছেন গ্রাফিক ডিজাইনার কফিল মিঠু। এ সময় তিনি কিশোরগঞ্জের গৌরাঙ্গবাজার ও স্টেশন রোডে (আওয়ামী লীগ অফিসের মোড়ে) সচেতনতামূলক এই কাজে অংশ নেন।
নিকলীর জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুরের এই কৃতি গ্রাফিক ডিজাইনারের এমন কাজ অনেক পথচারী ও গাড়িচালকের নজর কাড়ে। ব্যতিক্রমও রয়েছে; দায়িত্ব পালনরত একজন ট্রাফিক পুলিশ অজানা ভয়ে তাঁর সাথে ছবি তুলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে কফিল মিঠু ফেসবুকে নিজের ওয়ালে জানালেন, “এক ট্রাফিক মামা টি-শার্টের স্লোগান দেখে অজানা ভয়ে ছবি তুললেন না। মুসলিম চাচা (দারোয়ান) লেখাটা দেখে আমাকে সমর্থন জানালেন। বললেন- অনেকে আজাইরা হর্ন দেয়।”
একই পেশার সাথে জড়িত থাকা এই সামাজিক আন্দোলনের প্রবক্তা গ্রাফিক ডিজাইনার মমিনুর রহমান রয়েলের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করলেন কফিল মিঠু। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে একাত্মতা পোষণ করেই মমিনুরের পাঠানো টি-শার্ট গায়ে আজ তিনি কিশোরগঞ্জের ব্যস্ততম সড়কে ঘুরে বেড়ান। সচেতনতামূলক আন্দোলনে সফলতায় মমিনুরের জন্য শুভ কামনা জানান।