আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
বায়োস্কোপ অরিজিনাল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ওয়েব চলচ্চিত্র “অবশেষে ভালোবেসে”। এটি পরিচালনা করেছেন ফরহাদ আহমেদ। প্রযোজনা করেছেন আলফা আই মিডিয়া প্রোডাকশনস। এতে অভিনয় করেছেন মিথিলা। ওয়েব চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় তাঁর। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগ্রহের কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। এ ছাড়া গেল ভালোবাসা দিবসের টেলিছবি ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন তিনি।
“অবশেষে ভালোবেসে”তে নিজের চরিত্রটি কেমন?
আমার চরিত্রের নাম ইরা। এখানে ইরা একটি চঞ্চল–উচ্ছল স্বভাবের মেয়ে। বেশি কথা বলে এবং মফস্বলে থাকে। অর্ক নামে একটি ছেলের সঙ্গে প্রেম হয় তার। সে ঢাকাতে থাকে। পরপর তিনবার তারা দু’জন পালিয়ে যেতে চায়। কিন্তু বাবার প্রতি বেশি ভালোবাসার কারণে ইরা বারবারই পালাতে গিয়েও ফিরে আসে। এ রকম একটি চরিত্র।
প্রথম ওয়েব চলচ্চিত্রে অভিনয়। অভিজ্ঞতা কেমন?
ক্যামেরা থেকে শুরু করে সবকিছুই সিনেমার আদলে শুটিং হয়েছে। বাজেট ভালো। এটি দেখতে বসে দর্শকদের কাছে অনেকটা সিনেমা মনে হবে। একটি গানও আছে এতে। আমরা নাটকে যেমন তাড়াহুড়ো করে দিনে ১৫ থেকে ১৬টি দৃশ্য নামিয়ে ফেলি, কাজটি এখানে তেমন হয়নি। ধরে ধরে সময় নিয়ে কাজটি করা হয়েছে। ৩৫ মিনিটের ওয়েব চলচ্চিত্রে চার দিন ধরে শুটিং হয়েছে।
ওয়েব চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেন, সিনেমা করার ইচ্ছা আছে?
আমার মনে হয় সিনেমা করার জন্যই আমার জন্ম। প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরই বড় পর্দায় অভিনয়ের স্বপ্ন থাকে। আমারও আছে। কিন্তু আমি ফুলটাইম চাকরি করি। আর চলচ্চিত্রে কাজ করতে গেলে শুটিংয়ের আগে থেকে শুরু করে শুটিং, মুক্তির আগে প্রচারণা—সব মিলিয়ে ৪০ থেকে ৫০ দিন সময় দিতে হবে। তাই চাকরি করে সিনেমা করার ইচ্ছা থাকলেও উপায় হয় না। তবে ভালো গল্প, ভালো পরিচালকের সঙ্গে অন্তত একটা হলেও সিনেমা করব।
এর মধ্যে আপনি তো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন…
হ্যাঁ, তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। রেদওয়ান রনির ব্ল্যাক রোজ, ইফতেখার ফাহমির একটি সবুজ ব্যাগ ও আরবি প্রিতমের ওয়েলকাম টু ফ্যামিলি। একটি সবুজ ব্যাগ ও ওয়েলকাম টু ফ্যামিলি আইফ্লিক্সে প্রচার হয়েছে।
ভালোবাসা দিবসে টেলিভিশনে একটি টেলিছবি ও ইউটিউবে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। দর্শকের সাড়া কেমন?
বাংলাভিশনে প্রচারিত হয়েছে প্রথম প্রেম টেলিছবিটি। ইউটিউবে যোগ্যতা একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য। দু’টি থেকেই সাড়া পেয়েছি, পাচ্ছি। তবে টেলিভিশনে প্রচার হওয়ার পর টেলিছবিটি পরে আবার ইউটিউবে আপলোড হয়েছে। ইউটিউবে ওঠার পর টেলিছবিটি থেকে বেশি সাড়া পেয়েছি।
এখন সিনেমা ও নাটকের শিল্পীরা ওয়েব চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজের দিকে ঝুঁকছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন?
এখন পৃথিবী যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলতে হবে। ডিজিটালের যুগে ডিজিটালের সঙ্গেই থাকতে হবে। ওয়েব চলচ্চিত্র বা ওয়েব সিরিজে গল্প ভালো, বাজেট ভালো থাকে। নির্মাণেও যত্নের ছাপ থাকে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমাদের কাজের তুলনা করতে পারছি।
কার অভিনয় দেখে হিংসা হয়?
জয়া আহসান, অপি করিম ও নুসরাত ইমরোজ তিশার অভিনয়।
প্রেম করেন?
না, প্রেম করি না।
আপনার কাছে কার ফোন বেশি আসে?
নির্দিষ্ট করে তো বলা যাবে না। কাজের জন্য পরিচালকদের ফোনই বেশি আসে।
সূত্র : প্রথম আলো