আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
শিখা আক্তার (১৬)। হোসেনপুর উপজেলার টান জিনারি গ্রামের হতদরিদ্র মো. সাহাব উদ্দিনের মেয়ে। তেঁতোলিয়া শামছুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী দিচ্ছিলো শিখা। বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) ছিল শিখার কৃষিশিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা। হোসেনপুর সদরের পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সকাল ৯টার আগেই বাড়ি থেকে বের হয়েছিল শিখা। কিন্তু এই যাত্রাই তার শেষ যাত্রা হবে বুঝতে পারেনি কেউ!
সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রী হয়ে হোসেনপুরের পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিলো শিখা। পথে হোসেনপুর-নান্দাইল সড়কের সিদলা মোড়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় শিখাদের অটোরিকশার। এতে গুরুতর আহত হয় শিখা।
দুই সহযাত্রী মিজানুর রহমান ও আবদুল বারেক তাঁকে উদ্ধার করে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। খবর পেয়ে স্বজনেরা ছুটে যান হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে শিখা। অবস্থার অবনতি দেখে মুমূর্ষু শিখাকে নিয়ে স্বজনেরা রওনা হন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে। পথে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমায় শিখা।
নিহত শিখার ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান জানান, শিখা’র এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে তারা হতভম্ভ হয়ে পড়েছেন।
তেঁতোলিয়া শামছুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল হক বলেন, মেয়েটি মেধাবী ছিল। তার পিতা একজন অসচ্ছল মানুষ। অভাবের মাঝেও মেয়েকে কষ্ট করে পড়াচ্ছিলেন তিনি। সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মেয়েটির এমন অকাল মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।
সূত্র : কিশোরগঞ্জ নিউজ