আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
বাংলাদেশের তরুণ পেসারদের আজ শিক্ষা সফরে নিয়েছিলেন রস টেলর। পেসবান্ধব পিচ আর কন্ডিশন মানেই যে বোলিংটা সোজা হয়ে যাওয়া নয় সেটাই শেখালেন কিউই ব্যাটসম্যান। সবুজ উইকেটে বাড়তি বাউন্সের সামনেও ওয়ানডের গতিতে রান তুললেন ওয়েলিংটনে। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরিটা তুলে ফেললেন মাত্র ২১১ বলে। সে পথে ভাঙলেন দুটি রেকর্ড। রেকর্ড ভেঙে ক্ষমাও চাইলেন টেলর!
টেলরের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ওয়েলিংটনের চ্যালেঞ্জিং উইকেটেও পাঁচের ওপর রান রেটে ৪৩২ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। সে পথেই পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরি। এ ইনিংস দিয়েই প্রায় দেড় বছর লম্বা অপেক্ষা ফুরোল তাঁর। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের পর অবশেষে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে তিন অঙ্কের দেখা পেলেন টেলর। আর সে সঙ্গে টপকে গেলেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের ব্যাটিংয়ের শেষ কথা মার্টিন ক্রোকে। ২০১৫ সালে পরলোকে পাড়ি দেওয়া ক্রো টেস্টে ১৭টি সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিংবদন্তি নিজেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন টেলর একদিন তাঁকে টপকে যাবে।
তবে সেটা ঘটতে এত সময় লাগবে সেটা কল্পনা করেননি টেলর। এর মাঝেই কেন উইলিয়ামসনও (২০) ক্রোকে টপকে গিয়েছেন। সেঞ্চুরির পর এত দেরি করায় তাই ক্রোর জন্য নীরবে প্রার্থনা জানিয়ে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন টেলর, ‘আমি এত দেরি করায় হোগানের (ক্রো) কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। আমি যখন খেলা শুরু করেছি, তখন সতেরো ছিল অনেক বড় একটি সংখ্যা। যখন আমি সেটা ছুঁতে পারলাম, তখন অনেক স্বস্তি পেয়েছিলাম। এবং এরপর আমি আর এগোতে পারছিলাম না। এটা হয়তো আমার অবচেতন মনে রয়ে গিয়েছিল।’
এ কারণেই ২০১৭ সালের পর আর টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পাচ্ছিলেন না টেলর। এ নিয়ে ক্রীড়া মনোবিদের শরণাপন্ন হয়েছিলেন টেলর। চিকিৎসক তাঁকে বলেছেন এ অনুভূতিটা থাকবেই, এটা মেনে নিতে। টেলর সেই বাধা কাটিয়ে উঠতে পেরে খুশি, “এটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি এবং মাঠে গিয়ে খেলতে পারছি এতে ভালো লাগছে।” আজকের ২০০ রানের ইনিংসে বেসিন রিজার্ভে সবচেয়ে রান হয়ে গেছে টেলরের। এ রেকর্ডটিও এত দিন ছিল মার্টিন ক্রোর। আগের রেকর্ডটির অপেক্ষায় ক্রো নিজেই ছিলেন। তবে টেলরের ধারণা এই মাঠে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড ভাঙায় ‘কপট’ হলেও রাগ দেখাতেন ক্রো, ‘এ রেকর্ডে সে হয়তো একটু বিরক্ত!’
সূত্র : প্রথম আলো