কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি ।।
১৫ মার্চ শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ নূরে মসজিদে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সাজেদা আক্তার লিপি। তিনি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের দক্ষিণ অষ্টঘড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব মো: জালাল উদ্দিনের দ্বিতীয় পুত্র মো: মাসুদ মিয়ার স্ত্রী।
মাসুদ মিয়ার বড়ভাই মো: নজরুল ইসলাম প্রথমে সিংঙ্গাপুর থেকে নিউজিল্যান্ডে যান। পরে পর্যায়ক্রমে ছোট ২ ভাই মাসুদ মিয়া এবং খোকন মিয়া কাজের ভিসা নিয়ে নিউজিল্যান্ডে গমন করেন। ৫ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডে একটি প্রতিষ্ঠানে টেকনিক্যাল কাজ করছেন মাসুদ। বিয়ে করেন পাশ্ববর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের গোলাপ মিয়ার কন্যা সাজেদা আক্তার লিপিকে। নাগরিকত্ব পেয়ে গত ২ বছর আগে স্ত্রী সাজেদা আক্তার লিপিকে নিয়ে যান মাসুদ।
গত ১৫ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করতে সস্ত্রীক বের হন। পাশ্বর্বর্তী ক্রাইস্টচার্চ নূরে মসজিদের সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে মসজিদে চলে যান লিপি। স্বামী মাসুদ মিয়া গাড়ি পার্কিং করে মসজিদের কাছাকাছি যেতেই তিনি চিৎকার শুনে আড়ালে গিয়ে স্ত্রীকে ফোন করে চলে আসতে বলেন। লিপি বের হতেই গুলিবিদ্ধ হন এবং নিচে লুটিয়ে পড়েন। এরপর থেকেই হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় দিন পার করছেন।
মাসুদের ছোটভাই খোকন জানান, দুইবার অস্ত্রোপচার করা হলেও শারীরিক পরিস্থিতি ভালো নয়। একটি গুলি লিপির বুক চিড়ে পিঠ দিয়ে বের হয়। আরেকটি গুলি ভিতরে রয়ে গেছে। ইতোমধ্যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লিপিকে পরিদর্শন করেছেন। মাসুদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। মাসুদের বাবা মা বোন বসে কাঁদছেন। দোয়া চেয়েছেন দেশবাসীর কাছে।