মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাকৃতিক মিঠা পানির একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার মিটার জাল জব্দ করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ ২০১৯) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট থেকে বুড়িশ্চর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন তিনি।
বর্ষার আগাম হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে জাল পাতানোর হার। কিছুদিন পরেই বর্ষার মুহূর্তে বজ্রের শব্দে হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ে। সেখান থেকে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করে দেশ-বিদেশে পোনা বিক্রয় করে দেশে কোটি টাকার অর্থ আয় হয়। কিছু চক্র হালদা নদীতে জাল ফেলে মা মাছ ধরাসহ কিছু স্থানীয় বসবাসকারী তাদের সেপটিক ট্যাংকের ময়লা পাইপলাইন দিয়ে সরাসরি হালদা নদীতে ময়লাগুলো ফেলছে। যার কারণে বিভিন্ন সময় মরা মা’মাছ পানিতে ভেসে উঠছে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন প্রতিবেদককে বলেন, হালদা নদীতে ডিম ছাড়ার মৌসুম যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে জাল পাতানোর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নদীতে নজরদারি আরো বাড়ানো হবে।
সংবাদ পেয়ে মদুনাঘাট এলাকা থেকে বুড়িশ্চর পর্যন্ত অভিযানে ১০ হাজার মিটার ভাসা জাল জব্দ করেছি এবং হালদা নদীর দুষণ রোধ করার জন্য যারা সেপটিক ট্যাংকের পাইপ হালদায় ফেলেছেন তা বিকেলের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হালদা নদীতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ নিয়াজ মোরশেদ, বুড়িশ্চর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিক।